চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

টাইব্রেক ‘রোমাঞ্চে’ বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

হতাশার পারফরম্যান্সে শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্ব। সুযোগ ছিল অন্তত পঞ্চম বা ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণীতে জায়গা করে নিয়ে মান বাঁচিয়ে আসর শেষ করার। সেই লড়াইয়ে কী দারুণভাবেই না ফিরল লাল-সবুজের দল। চীনের বিপক্ষে বারকয়েক পিছিয়ে পড়েও ৩-৩ গোলে সমতায় ফেরার পর টাইব্রেকে ৪-৩ গোলের দুর্দান্ত জয়।

তাতে এশিয়া কাপের দশম আসরের ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত বাংলাদেশের। শুক্রবার পঞ্চম স্থানের জন্য জাপানের বিপক্ষে লড়বেন জিমি-চয়নরা। বিকেল ৫.৩০মিনিটে মাঠে গড়াবে লড়াই। সঙ্গে রোমাঞ্চকর এই জয়ে আগামী এশিয়া কাপে সরাসরি খেলাও নিশ্চিত হল বাংলাদেশের।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরুতে একই চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি করেছে বাংলাদেশ। প্রথম পাঁচ মিনিটে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দেওয়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় মিনিটেই গোলবঞ্চিত করেছে গোলপোস্ট। পুষ্কর খীসা মিমোর শট ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে।

পঞ্চম মিনিটে অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির জোরাল শট বের হয়ে গেছে পোস্টের গা ঘেঁষে।

দ্বিতীয় কোয়ার্টার থেকে বাংলাদেশের রক্ষণে হামলে পড়ে চীনারা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই দশের বেশি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নেয় র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৮ নম্বরে থাকা দলটি। অষ্টম এবং নবম পেনাল্টি কর্নার থেকে ১৬ ও ১৭ মিনিটে জোড়া গোল করে স্বাগতিকদের থমকে দেন তালাকে ডু।

দুই গোলে পিছিয়ে থেকে ২৫ মিনিটে ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে আসরে লাল-সবুজদের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন আশরাফুল ইসলাম।

ম্যাচের ২৮ মিনিটে স্বাগতিকদের জালে আবারও চীনের গোল। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তালাকে ডু।

প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ হারিয়েছেন জিমি। একক নৈপুণ্যে চীনা রক্ষণে ঢুকে যাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়কের শট আটকে গেছে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের গায়ে লেগে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুদফা গোলের দারুণ সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৩৪ মিনিটে অধিনায়ক জিমির পাস মিস করে দলকে গোল এনে দিতে ব্যর্থ হন মাইনুল ইসলাম। ৪০ মিনিটেও পুনরাবৃত্তি হয়েছে একই দৃশ্যের। সুবিধাজনক স্থানে বল পেয়েও গোলরক্ষকের গায়ে মেরেছেন মাইনুল।

ম্যাচের আট মিনিট বাকি থাকতে অবশ্য লড়াই জমিয়ে তোলে বাংলাদেশ। শেষ কোয়ার্টারে পেয়েছে পাঁচটি পেনাল্টি কর্নার। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে পাওয়া বলেই গোল করে লাল-সবুজদের ম্যাচে ফেরান মিলন হোসাইন।

দ্বিতীয় গোলের পরের মিনিটেই পেনাল্টি কর্নার থেকে দারুণ এক গোলে বাংলাদেশকে সমতায় ফিরিয়ে টাইব্রেকে নিয়ে যান খোরশেদুর রহমান।

টাইব্রেকে পেনাল্টি শুট আউটের শুরুটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি ভাবেই। প্রথম দুই স্ট্রোকেই গোল পেয়েছে বাংলাদেশ ও চীন। তৃতীয় স্ট্রোকে গোল করতে ব্যর্থ হন স্বাগতিকদের সোহানুর সবুজ এবং অতিথিদের সুজুআও।

চতুর্থ স্ট্রোকে চীনা গুউ জিয়াওপিংকে গোলবঞ্চিত করেন গোলরক্ষক অসীম গোপ। আর শেষ স্ট্রোকে গোল করে বাংলাদেশকে আসরের কাঙ্ক্ষিত জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন অধিনায়ক জিমি।