কাইলিয়ান এমবাপে যাই যাই করছেন। ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকা রিয়াল মাদ্রিদে গেলেন বলে। তার শূন্যস্থানে বড় নামের কাউকে আনতে চায় পিএসজি। লিগ ওয়ান জায়ান্টদের নজর আর্লিং হালান্ড, রবার্ট লেভান্ডোভস্কির দিকেও।
নেইমার আগে থেকে আছেন। মাসখানেক আগে ফ্রি-এজেন্টে লিওনেল মেসিকে পেয়ে গেছে পিএসজি। সঙ্গে এমবাপেকে নিয়ে ভয়ঙ্কর এক আক্রমণভাগের স্বপ্ন ছিল ক্লাবটির। কিন্তু এমবাপেকে ধরে রাখতে পারছে না তারা। বেচার মনোস্থিরও করে ফেলেছে উপায় না দেখে।
এমবাপের জায়গায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে টানার ইচ্ছা ছিল পিএসজির। পর্তুগিজ তারকা নিজেই হয়ত চাননি! তাইতো পিএসজির চেয়ে ম্যানচেস্টার সিটির নামই বেশি করে আলোচিত হচ্ছিল সিআর সেভেনকে ঘিরে।
সদ্যই জুভেন্টাসে সাবেক হয়ে পড়া মহাতারকাকে শেষ মুহূর্তে ছোঁ মেরে নিয়ে গেছে প্রিমিয়ার লিগের আরেক ক্লাব, রোনালদোর পুরনো ঘর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পিএসজিকে তাতে এই নামটি বাদ দিতে হচ্ছে।
কিন্তু এমবাপে যখন যাবেনই, সেটা গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাকি দুদিনের মধ্যে হোক আর পরের দলবদল মৌসুমে হোক, ফ্রান্স সেনসেশন লা প্যারিসিয়ান ডেরা ছাড়বেনই। রোনালদোর সম্ভাবনার পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় কাতারি মালিকের ক্লাবটির আগ্রহে তাই অন্য বড় নামগুলো।
সেই নামটা বায়ার্ন মিউনিখের গোলমেশিন লেভান্ডোভস্কি হতে পারে, সম্প্রতি বুন্দেসলিগার দল ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি। আরেকটি নাম হালান্ড, কয়েক বছর ধরেই বরুশিয়া ডর্ডমুন্ডের নরওয়ে তারকাকে ঘিরে নাম উচ্চারিত হচ্ছে বড় বড় ক্লাবগুলোকে জড়িয়ে।
বার্সেলোনা, রিয়াল থেকে শুরু করে ম্যানসিটি, ম্যানইউ, লিভারপুল, কে নেই হালান্ডের দিকে পাখির চোখ করে। হালান্ডও আর এক মৌসুম পর ডর্টমুন্ড ছাড়তে চান বলে ঠারেঠোরে জানিয়ে রেখেছেন। সম্ভব হলে বাকি দুদিনেও ছাড়তে পারেন! তাকে পাওয়ার দৌড়ে এবার নাম আসল পিএসজিরও।
পিএসজি এমকি এভারটনের ব্রাজিলিয়ান রিচার্লিশনের দিকেও নজর রেখেছে। যদিও এমবাপের জন্য রিয়ালের ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও দেয়নি ফরাসিরা। তারা আরও ২০ মিলিয়ন বেশি চায়। গত শুক্রবার রিয়ালের চূড়ান্ত প্রস্তাব বলে যা খবরে এসেছে, সেটির পর এমবাপেকে ঘিরে চলছে চাপা উত্তেজনা।
পরিস্থিতি যাই হোক, এমবাপেকে ছাড়ার মনোস্থির ও বিকল্প চিন্তা-পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে পিএসজি। সূত্রের বরাতে ইএসপিএন এফসি বলছে, ৩৩ বর্ষী লেভান্ডোভস্কির এজেন্ট পিনি জাহাভি সোমবার প্যারিসে যাচ্ছেন প্রস্তাব নিয়ে। আর্থিক দিকটা আকর্ষণীয় হলে লেভা নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত বলেও জানাচ্ছে একই প্রতিবেদন।
একই বিষয় হালান্ডের ক্ষেত্রেও। শুক্রবার পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দোর সঙ্গে হালান্ডের এজেন্ট মিনো রাইওলার কথা হয়েছে বলে খবর। যে রাইওলার মাধ্যমে ইউরোয় ইতালিকে শিরোপা জেতানোর পথে বড় ভূমিকা রাখা জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে ফ্রি-এজেন্টে পিএসজিতে এনেছেন লিওনার্দো।
২১ বর্ষী হালান্ডকে ছাড়তে চায় না ডর্টমুন্ড। তার জন্য ৭৫ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ বেধে রেখেছে। কিন্তু সেটা যদি ১০০ মিলিয়ন করে দেয় পিএসজি, তবে ডর্টমুন্ডের পিছপা হওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। সঙ্গে হালান্ড যে বেতন-বোনাস পাবেন পিএসজিতে, সেটাও ডর্টমুন্ডের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
এখন দেখার শেষ দাওটা কোন ক্লাব বসাতে পারে, কারণ হালান্ডের জন্য ২০০ মিলিয়নের প্রস্তাব দিতেও আগ্রহী কেউ কেউ, তাতেও অবশ্য পিএসজির নামটাই আগেভাগে আসছে।