রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য থেকে ফেরার পথে গুলিবর্ষণ করে ইউপিডিএফের পাঁচ নেতাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে নানিয়াচরের বেতছড়ি নামক স্থানে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি চালালে ইউপিডিএফ’র একাংশের নেতা তপন বর্মাসহ নিহত হয় ৫ জন। গুলিবিদ্ধ হয় আরো ৯ জন।
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফের সংস্কার গ্রুপের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মা, সুজন চাকমা, টনক চাকমা ও রাসেল চাকমা। এদের সবাইকে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদের মধ্যে আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানোর কথা জানান এমএন লারমা গ্রুপের সিনিয়র নেতা সুদর্শন চাকমা।
রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয় রূপম চাকমা।
ওই দিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করা হয়।
অবশ্য ইউপিডিএফের মুখপাত্র নিরন চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট। এর সাথে ইউপিডিএফের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
তিনি ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) নামের নতুন দলে যোগ দেন।