যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে পাওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বঙ্গবন্ধুর যে খুনি রয়েছে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ট্রাম্প সরকারের সবুজ সংকেত পেয়েছি আমরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন: বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে। যেসব খুনিরা বিদেশে রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বঙ্গবন্ধুর যে খুনি রয়েছে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ট্রাম্প সরকারের সবুজ সংকেত পেয়েছি আমরা। আরেকজন কানাডার আছে, নূর চৌধুরী। কানাডার আইনে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যাবে না। তাকে ফিরিয়ে আনার আইনি জটিলতা রয়েছে। আরেকজনের নাম বলবো না। তাকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের ৯০ শতাংশ আলোচনা সফল হয়েছে।
খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে ‘ভুয়া জন্মদিন পালন করা পাপ’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীর দিনে ভুয়া জন্মদিন পালন করে আমি তাদের ঘৃণা করি। ধিক্কার জানাই। বাংলাদেশে এক নেত্রীর জন্মদিবস ৫টি। প্রশ্ন এখানেই। তারস্কুলে জন্ম তারিখ একরকম, বিবাহের সময় আরেক রকম, পাসপোর্ট – বিদেশ যাত্রায় আরেক রকমের।
কাদের বলেন, বাংলার শোকাহত জাতি দেখলো বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে ভুয়া জন্মদিন পালন করেছে বিএনপি। তবে এবার জন্মদিনে পালনের ফরমেট বদলেছে। জেলে কেক কাটেনি। এরাই ( বিএনপি) দেশে পাপের নোংরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আবার এরাই ষড়যন্ত্র করে বৈধ সরকারকে হঠানোর চেষ্টা করছে। এদের চিনে রাখতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশী দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলো। ইনডেমিন আইন করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ডালিমকে স্বাগতম জানিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার টার্গেটে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিলো। সে দিন তিনি (শেখ হাসিনা) আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছেন।
‘এ বছর না ঐ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, ৯ বছরে ১৮টি ঈদ গেলে কোনো আন্দোলন করতে পারলো না। আন্দোলন করতে না পেরে বিদেশীদের ডেকে ঘনঘন নালিশ করছে। আবারও ১/ ১১ এর গন্ধ পাচ্ছি। নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে তারা। হঠাৎ করে দেখলাম শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের অরাজনৈতিক আন্দোলনে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। গুজব রটানোর জন্য অনেককে টাকা দিয়ে মাঠে নামনো হয়েছে।
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাছলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শামসুন্নাহার, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পাদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জাহাজ কল্পনা, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজানুল হক শোভনসহ অনেকে।