বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে আছে বেশ কিছু নদ-নদী। এসব নদীর অববাহিকায় একদিকে যেমন গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা, অন্যদিকে বিপুল প্রাণবৈচিত্র্যের সমাবেশ ঘটেছে এই অঞ্চলে। এই নদীগুলো পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেরও অন্যতম ধারক।
দেশের সব নদীরই উৎপত্তিস্থল পাহাড় হলেও, আমাদের দেশের পার্বত্য অঞ্চলে প্রবাহিত নদীগুলোই পাহাড়ি নদী হিসেবে পরিচিত। পাহাড়ি নদ-নদীর মধ্যে আছে কর্ণফুলী, সাঙ্গু, নাফ, কাচালং, মাইনীসহ অন্যান্য ছোট বড় বিভিন্ন নদী। এ নদীগুলোর কারণেই আমাদের দেশের পার্বত্য অঞ্চলের চিরসবুজ বনভূমি জীব বৈচিত্রের অন্যতম আধার।
এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয় এ নদীগুলোকে কেন্দ্র করে। পর্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও মিশে আছে এ নদীগুলোর সঙ্গে।
তবে অন্যান্য নদীগুলোর মতো এ নদীগুলোও বর্তমানে দূষণের শিকার। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নদীর আশে পাশের কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার ও তামাক চাষ।
এছাড়াও বনভূমি উজাড়ের কারণেও মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে নদীর বেশ কিছু স্থান শুকিয়ে যায়, দেখা দেয় পানি স্বল্পতা।
টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নদী সমূহ থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নদীর যথোপযোগী ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে একদিকে যেমন রক্ষা পাবে পাহাড়ি নদী অন্য দিকে নিশ্চিত হবে জীববৈচিত্রের জন্য নিরাপদ আবাস।