চার বছর আগে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলাটি আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দিনাজপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চার বছর আগের এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মো.আতাউল্লাহ নুরুল কবির। সে আবেদনের পর আজ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে এই মামলার পরবর্তী বিচারকাজে সংশ্লিষ্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। আর এক্ষেত্রে তাদের অবহেলা থাকলে বা তারা ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির প্রজনন অঙ্গে সংক্রমণ হওয়ায় দিনাজপুর ও পার্বতীপুরের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও সমাজসেবা অধিদপ্তরকে শিশুটির উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আজ আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.আতাউল্লাহ নুরুল কবির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশুটি বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। অন্যদিকে শিশুটির বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। সে মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে ওই বছরের ২৪ অক্টোবর পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অপর আসামি আফজাল হোসেন কবিরাজ প্রথমে পলাতক থেকে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হন এবং পরে জামিন পান।