একাত্তরে কলকাতার যে ২৫টি বাড়ি থেকে মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম পরিচালিত হতো তার একটি ছিলো পার্ক সার্কাসের সোহরাওয়ার্দী এভিনিউয়ে। সেটি এখন বাংলাদেশ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার। সেখান থেকেই সাংবাদিকরা পাকিস্তানী বর্বরতার খবর পৌঁছে দিতেন সারাবিশ্বের কাছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তখন কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোড বর্তমানে শেক্সপিয়ার সরণিতে বসে জাতীয় নেতারা নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধকে। তাদের খবর বালিগঞ্জের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র আর ধর্মতলার আকাশবাণী হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সব জায়গায়।
লড়াইয়ের আরেক সাক্ষী পার্ক সার্কাস। সেখানকার সোহরাওয়ার্দী এভিনিউয়ের সোহরাওয়ার্দী ভবন দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের মূল কেন্দ্র, সেখান থেকেই সাংবাদিকরা খবর পাঠাতেন বিশ্বের কাছে। একাত্তরের স্মৃতি জড়ানো বাড়িটি এখন বাংলাদেশ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার।
বাড়িটি ছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মামা হাসান সোহরাওয়ার্দীর। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এই বাড়িতে অনেক দিন কাটিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতারাও আসতেন এখানে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যেতো এখান থেকেই। বর্তমানে বাংলাদেশ লাইব্রেরিতে দুর্লভ প্রায় ২০ হাজার বই আছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি হারিয়ে গেলেও গৌরবের সাক্ষী হয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিজের হয়ে আছে এই বাড়ি।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: