চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পারিবারিক কবরস্থানে শেষ নিদ্রায় এমপি লিটন

গাইবান্ধা-১ আসনের (সুন্দরগঞ্জ) এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের গ্রামের বাড়ি সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজে বাদ আছর তৃতীয় নামাযে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

এরআগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় নামাযে জানাযা শেষে বেলা একটার দিকে এমপির লাশ বহনকারী হেলিকপ্টার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙায় পৌঁছে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজে নিজের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এমপির মরদেহ।

এমপি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে সকাল থেকে উত্তেজিত জনতা অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। এরইমধ্যে ট্রেনের চাকার সামনে বোমা সদৃশ একটি বস্তুর দেখা মেলে। সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার জানান, বোমা বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে।

দুই দিন থেকে আটক জামায়াত-শিবিরের ১৮ নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তবে এখনো হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়নি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের দুই ঘন্টা আগে কিলিং মিশনের সদস্য ছাড়াও সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি চিকিৎসার সহায়তার কথা বলে লিটনের বাসায় কিছুক্ষণ অবস্থান করেছিলো।

অপরিচিত সেই দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। অন্য সন্দেহভাজনদের খোঁজেও চলছে অভিযান।

শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তরা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে সাড়ে সাতটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে কে বা কারা এই গুলি চালিয়েছে তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।

রোববার সন্ধ্যায় লিটনের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। রাতে বারডেম হিমঘরে রাখা হয় এমপির মরদেহ।

এর আগে শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করার ঘটনায় সমালোচিত হন এমপি লিটন। ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর তার ছোড়া গুলিতে শাহাদাত হোসেন সৌরভ নামে নয় বছর বয়সী ওই শিশু আহত হয়। দুই পায়ে তিনটি গুলির ক্ষত নিয়ে দীর্ঘদিন তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।

শিশুটির বাবা সাজু মিয়া ঘটনার পরদিনই সাংসদ লিটনকে আসামী করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।