নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যে কোনো সময় পরমাণু ও হাইড্রোজেন বোমা ফেলার হুমকি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের (উত্তর কোরিয়া) হাতে রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র। পরমাণু বোমা তো আছেই, আছে হাইড্রোজেন বোমাও। কারও ওপর নির্ভর করে নয়, ওই সব অস্ত্র আমরা নিজেরাই বানিয়েছি। আর দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য তা ব্যবহার করতেও পিছপা নই আমরা।’
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সরাসরি ওই হুমকির পর পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই পরমাণু যুদ্ধের আতঙ্ক জোরালো হয়ে উঠেছে। আর রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্য যেভাবে তার চাচা-ফুফা ও নিকটাত্মীয়-পরিজনদের হত্যা করেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট, তাতে তার এই হুমকিকে খাটো করে দেখছেন না বিশ্লেষকরা।
কূটনীতিকরা মনে করছেন, নিজের জন্য যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো ধরনের নৃশংস কাজকর্ম করতে পারেন কিম জং-উন।
তবে এটা কি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ‘ফাঁকা আওয়াজ’? দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামকে চাপে রাখার কৌশল?
কেউ কেউ সেটাই বলছেন। কারণ, এর আগে মূল মার্কিন ভূখণ্ডে হামলার হুমকি দিয়েছিলো উত্তর কোরিয়া।