পাবনা ও টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. রুবেল (২২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে টেকনাফ সদরের বড় হাবির ছড়া নতুন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় এ বন্দুযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া জুম্মা পাড়া এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে।
র্যাবের দাবি নিহত রুবেল একজন মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী, এছাড়াও সে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিল। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও বন্দুকের দুইটি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের-১৫ জানায়, এসময় মাদক ব্যাবসায়ীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গুলাগুলির পর ৪/৫ জন মাদক ব্যবসায়ী গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে র্যাব। পরে তাকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, পাবনা সদর উপজেলার রাজাপুর এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত এক ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকের এ ঘটনায় নিহত আমিন শেখ (৪০) উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের পয়দা গ্রামের এসকেন শেখের ছেলে।
র্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি রাম দা, একটি চাপাতি ও পাঁচ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত আমিন শেখ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্য বলেও দাবি করেছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় তিনটি করে হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার আমিনুল কবির তরফদারের ভাষ্য, রাজাপুর এলাকায় এদকল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে চালায় র্যাব।
উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকতরা গুলি করলে র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।