কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি এলজি ও ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আহত হয়েছে পুলিশের ৩ সদস্য ।
শনিবার ২৪ আগস্ট ভোররাতে টেকনাফের জাদিমোরা পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার, রাশি দং থানার শিলখালী এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমানে কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমোরার ২৭ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ শাহ ও একই ক্যাম্পের আব্দুল আজিজের ছেলে মোহাম্মদ শুক্কুর। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল বলে জানায় পুলিশ। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামীদের ধরতে ২৪ আগস্ট ভোর রাতে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে গুলি চালায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৬০ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এতে পুলিশের এসআই মনসুর, এ এস আই জামান ও কনস্টেবল লিটন আহত হযন। তাদেরকে টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে এসব অস্ত্র ও দুইজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত পৌনে ১১ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে টেকনাফের জাদিমোরা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে তিন ঘণ্টা অবরোধ অগ্নিসংযোগ করে স্থানীয় জনতা। পরে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর তিনি হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর স্থানীয় জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করে।
ওসি প্রদীপ কুমার এর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই হত্যাকারী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।