পাবনায় পদ্মার বালু চরে শুরু হয়েছে তুলার আবাদ। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে পতিত জমিতে তুলা চাষ করে বাড়তি আয় করছেন কৃষক। সে হিসেবেই পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নে রয়েছে পদ্মার বিসৃত বালিয়াড়ী। এক সময় এই চরে কোন ফসল হতো না। সেখানে তুলা চাষ করে স্বচ্ছল চাষিরা।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরামর্শ ও সহোযোগীতায় এবার প্রথম বারের মতো আটশ বিঘা জমিতে তুলা আদায় করেছে চাষি। স্থানীয় চাষিরা বলছে, প্রথমবার এই তুলা ৮ মণ হয়েছিলো গত বছর এগারো মণ হয়েছিলো এবার আশা করছি আরো ভালো হবে।
এই তুলার আবাদের ফলে চরে অনেক কৃষি শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। আগামীতে এ অঞ্চলের চাষিদের আড়াই হাজার বিঘা জমিতে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় তুলা উন্নয়ন বোর্ড।
বগুড়ার প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোজাদ্দীদ আল শামীম বলেন, চাষদেরকে হাতে-কলমে ধরে এ আবাদটি করাইছি। যেখানে কোন আবাদই হতো না সেখানে এই আবাদটি করার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরো বলেন, এই আবাদের ফলে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার চলে এসেছে।
তুলার এ আবাদের ফলে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন। কুষ্টিয়া জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশীষ বলেন, যে মাটিতে আগে কোন ফসরই হতো সেখানে সে মাটিতে তুলা চাষের প্রযুক্তি কৃষকরা জানতে পেরে খুবই ভালো করছে।
এই পদ্মার চরের বালু মাটিতে তুলা চাষ করে একদিকে কৃষকরা যেমন সফল হয়েছেন তেমনি হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে করেন এলাকাবাসী।