যশোরে দিনে দিনে বাড়ছে পান চাষ।অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম ও লাভ বেশী হওয়ায় চাষী পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীর।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলায় এক হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে রয়েছে পানের বরজ রয়েছে। এর মধ্যে অভয়নগর উপজেলায় আছে তিনশত ৪৫ হেক্টর জমিতে।
লাভজনক ফসল হওয়ায় শিক্ষিত বেকার যুবক ও নতুন চাষীরা ঝুকছে পান চাষে।যশোরের একপান চাষী জানায়, মার্স্টাস পাস করার পর চাকরী না পেয়ে নিজের দুই বিঘা জমিতে পান চাষ করে আসম একন স্বাবলম্বী।
পান চাষকে জয়প্রিয় করতে সরকারের সহোযোগিতার পাশাপাশি ব্যংকগুলো এডিগয়ে আসলে এ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। আরেক পান চাষী বলেন, পান চাষ খুব লাভজনক। সরকার ঋনের ব্যবস্থা করলে আরো ভাল হত।
যশোরের আট উপজেলায় ভাবনা, সাচি ও ঝাল পানের চাষ সবচেয়ে বেশী।অন্যান্য ফসলের মত মৌসুমী নয় তাই বারো মাসে এ পান চাষ করা যায়্ ।
এ জেলার চাষীরা বছরে একশত ৪৮ কোটি চার লাখ টাকার পান বিক্রি করে থাকেন। তবে পান চাষ আরো বিস্তৃত করতে প্রয়োজনীয় গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর।যশোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, পান চাষ নিয়ে আধুনিক তথ্য কৃষকদের দিতে পারছিনা।এই চাষ ব্যবস্থা নিয়ে আরো ব্যাপক গবেষণা হওয়া দরকার। এ নিয়ে গবেষণা হলে কৃষকদের কাছে আরো লাভজনক ফসল হিসেবে পৌঁছাতে পারবে পান চাষ।