চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পানামা পেপারস: যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত ৪

পানামা পেপারস নামে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা দুর্নীতির নথি ফাঁস হয় ২০১৬ সালে। ফাঁস হওয়া নথির জেরে শুরু হওয়া তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে জালিয়াতি ও কর ফাঁকির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে চারজনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার ইউএস অ্যাটর্নি’স অফিস অব দ্য সাউদার্ন ডিসট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক-এর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত চারজনের নাম ঘোষণা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজন পলাতক।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চারজন ‘মোসাক ফনসেকার বহু বছর ধরে পরিচালিত অপরাধমূলক পরিকল্পনায়’ জড়িত ছিলেন।

অভিযুক্ত চারজনের নাম: রামসেস অওয়েনস, ডার্ক ব্রয়ার, রিচার্ড গ্যাফি এবং হ্যারাল্ড জোয়েচিম ভন ডার গোলজ।

এদের বিরুদ্ধে বেশকিছু জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুধু প্রাযুক্তিক জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ হলেই একেকজনের ২০ বছরের মতো কারাদণ্ড হতে পারে।

‘মোসাক ফনসেকা’ পানামাভিত্তিক একটি আইনি প্রতিষ্ঠান, যারা গোপনীয়তা রক্ষাকারী হিসেবে পৃথিবীর অন্যতম খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় আইনের ওপর ভর করে এটি প্রতিষ্ঠা করেন পানামার দুই নাগরিক জার্গেন মোসাক ও র‌্যামন ফনসেকা।

এই প্রতিষ্ঠান থেকে ফাঁস হওয়া নথিপত্রগুলোকেই বলা হচ্ছে পানামা পেপারস। ২০১৬ সালে প্রকাশ পাওয়া নথিগুলোর মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী ধনী ও প্রখ্যাত ব্যক্তিদের গোপন সম্পদ ও লুকানো কর ফাঁকির কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে পর্দা সরে যায়।

৫৪ বছর বয়সী জার্মান নাগরিক ব্রয়ার একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করতেন। মোসাক ফনসেকার সঙ্গে কোম্পানিটির সম্পৃক্ততা ছিল। গত ১৫ নভেম্বর প্যারিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভন ডার গোলজও (৮১) একজন জার্মান। যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করতে তিনি। অবশ্য সোমবার তিনি লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার হন।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট রিচার্ড গ্যাফিকে (৭৪) মঙ্গলবারই ম্যাসাচুসেটস থেকে আটক করা হয়।

পানামার নাগরিক ৫০ বছর বয়সী রামসেস অওয়েনস পলাতক রয়েছেন। তিনি সরাসরি মোসাক ফনসেকাতেই আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন।

ম্যানহাটান অ্যাটর্নি জিওফ্রি বারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ অনুসারে, এই চারজন নিজেদের এবং ক্লায়েন্টদের সম্পদ রক্ষার জন্য ব্যাপকভাবে মার্কিন কর আইন ফাঁকি দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা সম্পদ লুকানোর জন্য অফশোর অ্যাকাউন্ট খোলা এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠান চালুর মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার লেনদেন করেছেন।