পানামা পেপারস ফাঁস হওয়ার পর বসে থাকে নি সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন। এরপর পরই তিনি টুইটারে তার ফলোয়ারদের সামনে তুলে ধরতে থাকেন বিভিন্ন বিষয়।
বাংলাদেশ সময় ১১টা ৪৮ মিনিটে প্রথম টুইটে তিনি জানান, সাংবাদিকতা জগতে সবচেয়ে বড় তথ্য ফাঁস হয়েছে যার মূলে রয়েছে দুর্নীতি। পরের টুইটে তিনি জানিয়েছেন, কি রয়েছে পানামা পেপারসের পেছনের গল্পে, সাহসই হলো এক প্রকারের সংক্রামক বিষয়।
এই ফাঁস হওয়া তথ্যে সাংবাদিকতা গরম হয়ে উঠবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জার্মানীর প্রভাবশালী দৈনিক সুদেস্ক জেইটাংয়ের হাতেই প্রথম নথিগুলো আসে। এরপরেই সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টের (আইসিআইজে) কাছে পাঠায় পত্রিকাটি।
এই বড় তথ্য ফাঁসে কারা জড়িত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে দৈনিক সুদেস্ক জেইটাং অবশ্য জানিয়েছে, নিরাপত্তার গাফিলতির করণেই ফাঁস হয়েছে পানামা পেপারস।
বিপুল সংখ্যক নথি ফাঁস হয়েছে। এ যাবত নথি ফাঁসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফাঁসের ঘটনা এটি। এমনকি ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস হওয়ার ঘটনার চেয়েও বড়। এছাড়া ২০১৩ সালে এডওয়ার্ড স্নোডেন কর্তৃক গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি ফাঁসের ঘটনাও মোসাক ফোনসেকা নথি ফাঁসের তুলনায় ছোটো।
মোট ১১ দশমিক ৫ মিলিয়ন নথি এবং ২ দশমিক ৬ টেরাবাইট তথ্য মোসাক ফোনসেকার ডাটাবেজ থেকে ফাঁস হয়েছে।
পৃথিবীর নানান দেশের বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, খেলোয়াড়, অভিনেতা, ব্যবসায়ী, ব্যাংকসহ প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার নাম রয়েছে ওই তালিকায়। গোপন নথিতে উঠে এসেছে, কীভাবে তারা কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।