বিশ্বজুড়ে আলোচিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা বাংলাদেশিদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা, জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও সিআইডিকে পদক্ষেপের বিষয়ে আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
বিদেশি ব্যাংকে বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। সে রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালত তার আদেশে বাংলাদেশী কার কত পরিমাণ টাকা সুইস ব্যাংকে আছে এবং পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চান। এছাড়া আদালত তার রুলে বিদেশি ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিক অথবা কোম্পানি এবং অন্য কোনো সত্ত্বার গোপনে গচ্ছিত টাকা উদ্ধারে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান।
সেই সাথে পানামা পেপার ও প্যারাডাইস পেপারে বাংলাদেশি যেসব নাগরিক ও কোম্পানির নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সে তদন্তের অগ্রগতি প্রতি মাসে আদালতকে জানাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চান হাইকোর্ট। আর বাংলাদেশি কোনো নাগরিক অথবা কোম্পানি বা অন্য কোনো সত্ত্বার অর্থপাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয় নিরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
এরপর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিদেশে অর্থপাচার নিয়ে পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে উঠে আসা দেশের ৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন রোববার জমা দেয় দুদক। ওই ৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি নাম ছিল পানামা পেপারসে আর প্যারাডাইস পেপারসে ছিল ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম।