দেশের প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো সাইফুর রহমানের সম্বনয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় ও হুমায়ুন আজাদের মতো লেখকদের লেখা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে রিট আবেদন করেছিলেন শিক্ষাবিদ মমতাজ জাহান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, প্রথম থেকে নবম শ্রেনির পাঠ্যপুস্তক হতে দেশের প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত লেখকদের লেখা বাদ দেয়ায় গত সপ্তাহে হাইকোর্টে এই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেজ্ঞ করে একটি রিট আবেদন করা হয়।
তিনি আরও জানান, আমাদের পাঠ্যপুস্তক হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, কিন্তু আমরা দেখেছি আমাদের এই পাঠ্যক্রম থেকে রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় ও হুমায়ুন আজাদের মতো লেখকদের লেখা বাদ দেয়া হয়েছে, যেটা সাম্প্রদায়িকীকরনের প্রতিফলন। যার প্রতিকারের জন্য এই রিট করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয় হেফাজত ইসলামের দাবির পেক্ষাপটে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে।