পাঞ্জাবে এক কিশোরীকে (১৪) চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে বাস ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও তাদের বন্ধু।
বুধবার পাঞ্জাবের চন্ডীগর থেকে ১৫০ মাইল দূরে মোগা জেলায় এই নির্মম ঘটনায় গুরুতর আহত ৯ম শ্রেণির কিশোরীকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই রাস্তায় মারা যায়।
পুলিশ অফিসার যতিন্দ্র খৈরা বলেন, বাসটি পাঞ্জাবের উপ প্রধানমন্ত্রী সুখবীর বাদলের ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির।
জেলা হাসপাতালে অজ্ঞান থাকার পর কিশোরীটির মা বৃহস্পতিবার বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় গুরুদুয়াড়ায় আসার উদ্দেশ্যে মা, ছোট ভাইসহ কিশোরীটি একটি প্রাইভেট বাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ১২ জনের বেশি একদল লোক কিশোরীটিকে বিরক্ত করতে শুরু করে। বাসের কেউ পরিবারটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।
তিনি আরো বলেন, বাস কন্ডাক্টর তার মেয়েকে টিকিট দিচ্ছিলো না। ১০ কিলোমিটার পথ যেতেই লোকগুলো তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শুরু করে। তাদের সাহায্য করার পরিবর্তে কন্ডাক্টরও এই অশালীন আচরণে লোকগুলোর সঙ্গে যোগ দেয়। তারপর মেয়েটির সঙ্গে তার মাকেও বিরক্ত করতে শুরু করে তারা।
তিনি জানান, বাস ড্রাইভারকে বাস থামানোরা অনুরোধ করলে ড্রাইভার বাস না থামিয়ে আরো জোরে চালাতে থাকে। একটি মোড়ে বাসটির গতি কমলে লোকগুলো তাকে ও তার মেয়েকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই দুর্ঘটনাটি ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরে দিল্লির বাসে এক মেডিকেল ছাত্রীর ওপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনাটি মনে করিয়ে দেয়। দিল্লির সেই নির্মমতার পর পাবলিক বাসে মেয়েদের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলেছিলেন ভারত সরকার।