আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের পর পাঞ্জাবের বিভিন্ন কলেজে পড়াশোনা করা কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীদের অধিকাংশই পাঞ্জাবে বসবাসরত উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের লোকজন বলে দাবি করেছে আক্রান্তরা।
হিন্দুস্থান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের সাংরুরে ভাই গুরুদাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি ছাত্রের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের হোস্টেলের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
আক্রান্ত এক ছাত্র হামলার সময় লাইভ স্ট্রিমও করেন ফেসবুকে। শিক্ষার্থীদের উপর রড ও লাঠি দিয়ে হামলা করা হয়। ভাই গুরু দাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আকিকে জানায়, উত্তর প্রদেশ ও বিহারের কিছু ছাত্র তার রুমে ঢুকে তাকে আক্রমণ করে।
একই কলেজের অপর এক ছাত্র শোয়েব বলেন, ‘আমরা আমাদের হোস্টেলের রুমে ছিলাম, তখন বাইরে থেকে কিছু শব্দ শুনতে পাই। আমরা কী ঘটছে তা দেখতে গিয়েছিলাম এবং অন্য ব্লকে কিছু লোককে কাশ্মীরি ছাত্রদের আক্রমণ করতে দেখেছি। তারা ঘরের জানালার কাচ ভেঙ্গে ক্রমাগত ‘তুমি পাকিস্তানি’ বলে চিৎকার করছিল।’
অন্য আরেক ছাত্র বলেন, ‘স্থানীয় পাঞ্জাবিরা আমাদের উদ্ধার করতে এসেছিল। তারা আমাদের এই হামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।’
আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে তাঁরা কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে এই হামলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। এই হামলার ঘটনায় অন্তত ছয় কাশ্মীরি ছাত্র জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার সকালে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার জন্য দু’পক্ষই ক্ষমা চেয়ে মিটমাট করে নিয়েছে।
বিশ্বকাপে উভয়দলের প্রথম ম্যাচে ১৩ বল বাকি থাকতে ভারতকে ১০ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। যা আইসিসির কোনো ইভেন্টে পাকিস্তানের কাছে ভারতের প্রথম পরাজয়।