পাকিস্তান যদি যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকে তাহলে ভারতও প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
জম্বু ও কাশ্মীরে সেনাবহরে জঙ্গি হামলায় ৪০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধ নিবে ভারত। এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভারত কোনো আক্রমণ চালালে প্রতিশোধ নিবে তারা।
দুই দেশের এমন মারমুখী অবস্থানের মধ্যে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট সেখানকার ১০টি রাজ্যকে বলেছেন, সারাদেশে বসবাসকারী কাশ্মীরিদের বয়কট বা আক্রমণ যেন না করা হয়। পুলওয়ামা রাজ্যে সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনার পরে তাদের প্রতি হুমকি ও সহিংসতার ঘটনার খবর আসলে এই নির্দেশনা দেয় আদালত।
আদেশ পাওয়া ১০টি রাজ্য হলো- জম্বু ও কাশ্মীর, উত্তরখণ্ড, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মেঘালয়া, ছত্তিশগড়, ওয়েস্ট বেঙ্গল, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গাগোইয়ের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, চিফ সেক্রেটারিয়েটদের, ডিজিপিদের এবং দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে করে কাশ্মীরি এবং অন্যান্য নৃগোষ্ঠীদের হুমকি, হয়রানি ও বয়কট এড়াতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আরআগে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তারিক আদিবের ফাইল করা পিটিশনের শুনানিতে এ রায় দেন আদালত। পিটিশনার মেঘালয়ার গভর্নর তথাগত রায়ের বিতর্কিত টুইটের কথাও উল্লেখ করেছেন।সেখানেও সব কাশ্মীরিকে বয়কটের উস্কানি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে অন্তত ৪০ জন ভারতীয় আধাসামরিক সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে।
হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদ।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে দুই দশকের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর ‘বদলা’ নেয়ার ঘোষণা দেন। তার অভিযোগ পাকিস্তানের মদদে এ হামলা হয়েছে।
এই ঘটনার পরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাশ্মীরিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ অ্যাখ্যা দিয়ে হামলা ও হয়রানি করা হয়।