পাকিস্তানের সঙ্গে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেছে সৌদি আরব। পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতি ঠিকঠাক করতে সাহায্য করবে এই বিনিয়োগ।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উচ্চ পর্যায়ের এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে পাকিস্তানে আসার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাকিস্তানকে এখন দ্রুতই পেমেন্ট সংকট চিহ্নিত করতে হবে সহায়তার জন্য।
এই চুক্তির মধ্যে রয়েছে বন্দর নগরীতে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তেল শোধনাগার। এর আগে দুই পক্ষ থেকেই শক্তি, পেট্রোকেমিকেল, খনির ক্ষেত্র বিষয়ে বেশ কিছু প্রাদেশিক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
সৌদি যুবরাজ বলেছেন, প্রথম ধাপ হিসেবে এটি বেশ বড়। সেটা নিশ্চয়ই প্রতিমাসে ও প্রতি বছরে বড় হবে। তা দুই দেশের জন্যই উপকারী হবে।
বর্তমানে অর্থের জন্য মরিয়া হয়ে রয়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রয়েছে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক রিজার্ভ এবং পেমেন্ট সংকটে ভুগছে দেশটি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেই সব বন্ধু দেশগুলোর কাছে সাহায্য খুঁজছে যেন আইএমএফের খুব কঠোর শর্তের মধ্যে অর্থনীতি গড়ার প্যাকেজ পেতে পারে।
১৯৮০ সালের পর থেকে ১৩তম বারের মতো বেইলআউট চাইছে পাকিস্তান।
সৌদি যুবরাজ এশিয়া সফরে প্রথম থেমেছিলেন পাকিস্তানে। মঙ্গলবারে তার ভারতে থাকার কথা, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার থাকবেন চীনে।
সাংবাদিক জামাল খাশোগির ঘটনার পরে নিজের ভাবমূর্তি আবার ঠিক করার চেষ্টা করছেন সৌদি যুবরাজ। গত অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটের ভেতরে খুন হন জামাল খাশোগি।