জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার পাকিস্তানের একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারত।
শনিবার ভারতের নিরাপত্তা বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, রাওয়ালপিন্ডিতে সামরিক হাসপাতালে কিডনির সমস্যায় ভোগা আজহার মাহমুদের নিয়মিত ডায়ালিসিস চলছে।
এর আগে শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরাইশি বলেন, মাসুদ আজহার অত্যন্ত ‘অসুস্থ’। মাসুদ আজহার এখন পাকিস্তানেই আছেন। অন্তত আমার কাছে যেটুকু তথ্য আছে, তা থেকে এই ব্যাপারে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি। এখন সে এতটাই অসুস্থ যে ঘর থেকে বেরোনোর মতো অবস্থাতেই নেই।
তার এই বক্তব্যের পর শনিবার ভারতের নিরাপত্তা বিভাগের ওই মুখপাত্র বলেন, সাম্প্রতিক রিপোর্টসমূহ দেখে বোঝা যাচ্ছে কিডনির সমস্যায় প্রবলভাবে ভুগছে মাসুদ আজহার। এই মুহূর্তে সে চিকিৎসাধীন। পাকিস্তানি সেনার সদর দপ্তর রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে তার নিয়মিত ডায়ালিসিস চলছে।
এনডিটিভি জানায়, জইশ-ই-মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার এক সময় ওসামা বিন লাদেনের অতি ঘনিষ্ঠ সহকারী ছিল। বহু আফ্রিকান দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলায় সে মদদদাতা। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের বহু মসজিদকে ব্যবহার করে জিহাদের ডাক দেওয়া এই জঙ্গি নেতাকে ধর্মের ভিত্তিতে সন্ত্রাসবাদের অন্যতম কুখ্যাত ‘প্রাণপুরুষ’ বলা যায়।
৫০ বছর বয়সী এই জঙ্গি নেতার প্রভাব এতটাই বেশি যে, ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আইসি-৮১৪ নামের একটি বিমান ছিনতাই করে কান্দাহার বিমানবন্দরে রেখেছিল। ওই বিমানের বিনিময়ে তৎকালীন ভারত সরকার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
সেই রাতে ওসামা বিন লাদেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে একটি ভোজ পার্টির আয়োজন করেছিল মাসুদ আজহারের সম্মানে।
এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে মাসুদ আজহার। সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান। সেই হামলারও দায় স্বীকার করেছে মাসুদ আজহারের জইশ-ই-মোহাম্মদ।