১৯৭১ সালে তৌকীর আহমেদ ছোট ছিলেন। তার বাবা চিকিৎসক। নাম লে. কর্নেল কফিল উদ্দিন আহমেদ। তখন চাকরি করতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ছিলেন তারা। ছিলেন পাঁচ ভাইবোন, বাবা, মা আর এক মামা। তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে বন্দী করে রাখা হয়।
তৌকীর বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের মানসিক জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। আমার শিশুবেলার সেই অভিজ্ঞতার মধ্যে ভীতি আছে, বিভীষিকা আছে। বাবার অপমান আর পারিবারিক অসচ্ছলতার কথা মনে হলে এখনো শিউড়ে ওঠি।’
তৌকীর আহমেদ পড়াশোনা করেছেন স্থাপত্যবিদ্যায়। অভিনয় করছেন, পাশাপাশি নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন।
১৯৭১ সালের ওই দিনগুলোর কথা এখনো স্পষ্ট মনে আছে। বললেন, ‘সেই দিনগুলোর অভিজ্ঞতাই পরে আমাকে “জয়যাত্রা” ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করে। “জয়যাত্রা” আমার মুক্তিযুদ্ধ।’
ভবিষ্যতে আবারও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র তৈরির ব্যাপারে তৌকীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি তৈরি খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। কেউ টাকা দিতে চায় না। “জয়যাত্রা” নিজের টাকা দিয়ে করেছি, সেই টাকা ফেরত আসেনি।’