চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পাকিস্তানের জয়ের পর স্টেডিয়ামে লঙ্কাকাণ্ড

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের উগ্র কিছু সমর্থক হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে। ম্যাচ শেষেও সেটির রেশ থাকল। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে পাকিস্তানের ৩ উইকেটে জয়ের পর মাঠে ঢুকে পড়েছে দর্শক, পিচে আক্রমণ করেছে, গ্যালারিতে করেছে লঙ্কাকাণ্ড।

হেডিংলিতে শুরুতে একদফা অরাজকতা হয়েছে। মাঠের লড়াইয়ে যখন ব্যস্ত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, সেই উত্তাপের তেজ ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুদলের সমর্থকরা!

ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক গড়াতেই মাঠের কার্নেগী প্যাভিলিয়ন প্রান্তে উত্তাপ ছড়িয়েছে দুই দেশের সমর্থকদের মাঝে। একটা সময় হাতাহাতিতে রূপ নিলে থামাতে এগিয়ে আসতে হয় আইন-শৃঙ্খলা কর্মীদের। একাধিক দর্শককে মাঠ থেকে বেরও করে দিয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেয়ার সময়ও তৈরি হয় আরেক অরাজক পরিস্থিতির। লোহার গেট পেরিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর পর্যন্ত হামলা চালায় উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা। একাধিক দর্শকের হাতে দেখা গেছে লোহার রডও।

দ্বিতীয়দফা বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান আফগানদের হারানোর পর। নখ কামড়ানো জয়ের পর সরফরাজের দল ড্রেসিংরুমে ফেরার সময়ও পায়নি। মাঠে চলে আসে কিছু সমর্থক। দুদলের খেলোয়াড়দের তখন নিরাপত্তা বেস্টনি গড়ে সাজঘরে ফেরাতে হয়।

লিডসের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে উত্তাপ তখন বোতল ছোঁড়া-ছুঁড়িতে রূপ নিয়েছে। দুই দলের সমর্থকরাই তাতে জড়িত। ক্রিকইনফো জানায়, ম্যাচ শেষে সমর্থকরা গ্যালারিতে রীতিমতো হাঙ্গামা চালায়। একে অন্যের দিকে পানি ও জুসের বোতল নিক্ষেপ করতে থাকে। সেগুলো ছিল লিকুইডে পূর্ণ। স্টেডিয়াম জুড়েই বোতল ছোঁড়াছুড়ির এক প্রতিযোগিতা চলেছে।

কিছু উগ্র সমর্থক গ্যালারিতে ধোঁয়ার কুণ্ডলীও সৃষ্টি করে। তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে ঢুকে পড়া সমর্থকরা পিচের ওপর এসে পড়ে। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ এ মাঠের পিচ ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। এমনকি ক্রিকেটারদের পর্যন্ত নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করে পিচ রক্ষা করতে দেখা যায়।

ম্যাচের আগে থেকেই বেশরকম উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল পাকিস্তান-আফগানিস্তান সমর্থকদের মাঝে। দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কও এখন বেশ রকম শীতল। এরমাঝে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত হওয়ায় পাকিস্তানের শ্যেন দৃষ্টিতে পড়েছে একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র আফগানিস্তান। ২০১৭ সাল থেকে দুই দেশের সীমান্ত এখন আপাতত বন্ধ।

ম্যাচের আগেরদিনের কথা, মাঠে ও গ্যালারিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েব। শেষ পর্যন্ত ঘটল সেটাই।