পাকিস্তান সফরের শুরু থেকেই নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছে বাংলাদেশ। প্রথম চার ম্যাচে লড়াই করলেও জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। অবশেষে জয় পেল টিম টাইগ্রেস। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ১ উইকেটে হারিয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করেছে সফরকারীরা।
লাহোরে আগে ব্যাট করে ২১১ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাবে এক বল ও এক উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এক সময় ২ উইকেটে একশ’র বেশি রান তুলে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতেছেন সালমা-রুমানারা।
তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ ড্রয়ে শেষ করে দেশে ফিরছে টিম টাইগ্রেস।
পাকিস্তান ইনিংসের জবাব দিতে নেমে প্রথমসারির পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনই রান পান। একমাত্র নিগার সুলতানাই কেবল রানের খাতা খুলতে পারেননি। ২৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়তে ২৪ রান করেন শারমিন সুলতানা। আরেক ওপেনার মুরশিদা খাতুন করেন ৪৪ রান।
স্বাগতিক ওপেনার নাহিদা খানের হাফসেঞ্চুরির জবাব হাফসেঞ্চুরিতেই দেন ফারজানা হক। ছয় চারে ৬৭ রান করে তিনি বাংলাদেশ ইনিংসের ভিতটা শক্ত করে দেন। বলের পর ব্যাট হাতে দলকে টানেন রুমানা আহমেদ। ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
শেষদিকে তিনজন ব্যাটার দুইয়ের ঘরে পৌঁছানোর আগে ফিরে গেলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কঠিন পরিস্থিতিতে ৭ রান করে দলকে বাঁচিয়ে দেন জাহানারা আলম। অপরাজিত ৪ রান করে দলের জয়ে কম অবদান রাখেননি নাহিদা আক্তারও। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর পরও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। হতে দেননি আসলে বাংলাদেশের দুই বোলার সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদ। অধিনায়ক রুমানা তিনটি ও সালমা দুই উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের রানের চাকা আটকে দেন।
পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান ওপেনার নাহিদা খান। ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া আলিয়া রিয়াজ ৩৬, বিসমাহ মারুফ ৩৪ ও জাভেরিয়া খান ২৪ রান করেন। বাকিদের কেউ উল্লেখ করার মতো রান করতে পারেননি।
রুমানা-সালমা ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে একটি উইকেট নেন পান্না ঘোষ। এদিন ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের তিনজন ব্যাটসম্যানকে রানআউট করেন মেয়েরা।