ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া তিনশ পেরোনো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বৃষ্টি আইনে ১২৪ রানের বড় হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান। রোববার তিনদফা বৃষ্টির বাধায় পড়া ম্যাচে রোহিত-ধাওয়ানের রেকর্ড জুটির পর যুবরাজের ঝড়ের সঙ্গে কোহলির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে বৃষ্টির কারণে ৪৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৩ উইকেটে ৩১৯ রান তোলে ভারত। পরে পাকিস্তানের ব্যাটিং শুরুর আগে ৪৮ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩২৪ রান। ইনিংসের মাঝে আরেকদফা বৃষ্টি হানা দিলে ৪১ ওভারে ২৮৯ রানের পরিবর্তিত লক্ষ্য পায় পাকরা। তাতে ৩৩.৪ ওভারে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সরফরাজ আহমেদের দল। দুদলের লড়াইয়ের ইতিহাসে এর আগে একশর বেশি ব্যবধানে একবারই হেরেছিল পাকরা।
রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। উদ্বোধনী আজহার আলির ৫০ ও মোহাম্মদ হাফিজের ৩৩ ছাড়া বলার মত অবদান রাখতে পারেননি কেউ। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ও অধিনায়ক সরফরাজ ১৫ রান করে করেন।
ভারতের হয়ে উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন হাত ঘোরানো পাঁচ বোলারের চারজন। উমেশ যাদব ৩টি, হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা ২টি, ভুবনেশ্বর কুমার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে পুরোটা ভারতের ব্যাটিং শক্তি প্রদর্শনীর গল্প। ফিফটি পেয়েছেন টপ অর্ডারে নামা তাদের চার ব্যাটসম্যানই। রোহিতের ফিফটিটা একটু ব্যতিক্রম। সেঞ্চুরির কাছে যেয়েও ৯ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে।
ইনিংসের শুরুটা হয় রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান জুটির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রেকর্ডের মধ্য দিয়ে। এদিন দুজনে ১৩৬ রান যোগ করেছেন। সেটি প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে দুজনের তৃতীয় সেঞ্চুরির জুটি। আর কোন জুটির এই কীর্তি নেই।
রেকর্ড জুটিটি ভাঙে ধাওয়ানের বিদায়ে। ৬ চার ও এক ছয়ে ৬৫ বলে ৬৮ রানের ইনিংস সাজিয়ে ফিরেছেন এই উদ্বোধনী। সেখান থেকে কোহলিকে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন রোহিত। কিন্তু দ্বিতীয় দফার বৃষ্টি বিরতির পর ফিরে যেন মনোযোগে চিড় ধরে তার। ৯১ রানে ফিরেছেন রান আউট হয়ে। ৭ চার ও ২ ছয়ে ১১৯ বলের ধীরস্থির ইনিংস সাজিয়েছেন এই ডানহাতি।
ধীরস্থির ফিফটি তুলে নিয়ে এগোচ্ছিলেন কোহলিও। কিন্তু অপর প্রান্তে যুবরাজ সিংকে ঝড় তুলতে দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভারত অধিনায়ককে আউটও করতে পারেনি পাক বোলাররা। ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৬৮ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি।
ম্যাচসেরা যুবরাজ ঝড় থেমেছে ৫৩ রানে। ৮ চার ও এক ছয়ে ৩২ বলের ইনিংস সাজানোর পর। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া টানা তিন ছয়ে ৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ১০ ওভারে ৭০ রান দেয়া হাসান আলি ও সমান ওভারে ৫২ রান দেয়া সাদাব খান। তবে ৮.৪ ওভারে ৮৭ রান দিয়ে সবচেয়ে মুক্তহস্ত ছিলেন কোন উইকেটের দেখা না পাওয়া ওয়াহাব রিয়াজ।