চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পাকিস্তানকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

কক্সবাজার থেকে: টি-টুয়েন্টি সিরিজ হারের হতাশা শক্তিতে রূপান্তরিত করল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সোমবার সিরিজের একমাত্র ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ব্যাটে-বলে উড়িয়ে ৬ উইকেটের জয় তুলে শেষটা মধুর করেছে রুমানা আহমেদের দল।

টি-টুয়েন্টি সিরিজে যেসব জায়গায় দুর্বলতা ছিল, সেসবে দারুণ উন্নতি দেখা গেছে মেয়েদের পারফরম্যান্সে। শট সিলেকশন, গ্যাপ বের করে সিঙ্গেলস খেলা, রানিং বিটুইন দ্য উইকেট ও ক্যাচ নেয়া, সঙ্গে বোলিংয়ে দেখা গেছে ভিন্নরূপ। চলতি মাসের শেষদিকে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়ার আগে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাওয়া দাপুটে জয়টি হয়ে রইল টিম টাইগ্রের আত্মবিশ্বাস সঞ্চারের পাথেয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান-৯৪/১০ (৩৪.৫ ওভার); বাংলাদেশ-৯৫/৪ (২৮.৩ ওভার)

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খাদিজাতুল কুবরার রেকর্ড ৬ উইকেট তোলার দিনে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৯৪ রানে। নাগালে থাকা লক্ষ্য বাংলাদেশ টপকে যায় ২৮.৩ ওভারে। হারাতে হয় ৪টি উইকেট। ফারজানা হক পিংকি ৪৮ ও রুমানা করেন ৩৪ রান।

সাড়ে চার মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামা টিম টাইগ্রেসের জন্য আত্মবিশ্বাসী এক জয় এটি। ২০১৪ সালে কক্সবাজারেই পাকিস্তানের সঙ্গে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল সালমা-রুমারা। হোম সিরিজে টানা তিন জয় এল সফরকারীদের বিপক্ষে।

ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এদিন কুবরা ৬ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে একশোর আগে গুটিয়ে দেন। তখনই ম্যাচ হেলে যায় বাংলাদেশের দিকে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগে বাংলাদেশের কেউ পায়নি ৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেয়ার কীর্তি ছিল কুবরারই। নিজেকে টপকে যাওয়ার পথে এ ম্যাচে ৯.৫ ওভারে ২০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বিধ্বস্ত করেন পাকিস্তানের ব্যাটিং।

ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে বিশ্বের দুই বোলারের। সোমবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারতেন কুবরা। শেষদিকে কট অ্যান্ড বোল্ডের সুযোগ মিস করায় তা পারেননি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরুই করেছিল পাকিস্তান। ওপেনিং জুটি থেকে তুলে ফেলে ৩৮ রান। সেখান থেকে কুবরা বল হাতে নেয়ার পরই লেখা হতে থাকে বোলিংকাব্য।

সর্বোচ্চ ২৯ রান করা জাভেরিয়া খানকে ফ্লাইটে বোকা বানিয়ে কট অ্যান্ড বোল্ডে ফেরান কুবরা। আউট হয়েও কুবরার মাথা হাত রেখে অভিনন্দন জানান পাকিস্তান অধিনায়ক। এরপর একে একে তার শিকার ৬ উইকেট।

রুমানা আহমেদ দুটি, জাহানারা আলম ও লতা মণ্ডল নেন একটি করে উইকেট। ৩৪.৫ ওভারের বেশি খেলতে পারেনি একদিন আগেই ৩-০ ব্যবধানে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জেতা পাকিস্তানের মেয়েরা।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরলেও রুমানা ও ফারজানা হক পিংকির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে সফরকারীরা।

ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন আয়শা রহমান শুকতারা। সানা মিরের স্পিনে এলবিডব্লিউ হন এ ডানহাতি ব্যাটার। শামীমা সুলতানার জায়গায় একাদশে ফেরা শামীমা আক্তার ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে রুমানা ও পিংকি ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।