চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পাঁচ নতুন স্টার্টআপে জিপি অ্যাক্সিলারেটরের পঞ্চম ব্যাচের যাত্রা

প্রযুক্তি নির্ভর নতুন উদ্যোগ বা স্টার্টআপগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে গ্রামীণফোন (জিপি) অ্যাক্সিলারেটর কর্মসূচির পঞ্চম ব্যাচে এবার ৫টি প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্টআপকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এই ৫টি স্টার্ট আপ হচ্ছে: সার্চ ইংলিশ, সিওয়ার্ক মাইক্রোজব, অনুসার্ভার, ডিজিটাল মানুষ এবং পার্কিং কই।

১ হাজার আবেদনের মধ্যে চূড়ান্ত বাছাইয়ে টিকে যাওয়া এই ৫টি স্টার্টআপকে চার মাসে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা দিকনির্দেশনা দেবে। নির্বাচিত প্রতিটি স্টার্টআপকে ৮% ইকুইটির বিপরীতে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার সিড ফান্ড হিসেবে দেয়া হবে। এছাড়াও এই স্টার্টআপদের ১১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলারের অ্যামজন ওয়েব সার্ভিস ক্রেডিট এবং গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে কাজ করার জায়গা দেয়া হবে।

রোববার গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে আয়োজিত অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় গ্রামীণফোন।

২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি নতুন উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিয়েছে জানিয়ে জিপি অ্যাক্সিলারেটরের প্রধান মিনহাজ আনোয়ার বলেন: মাত্র দুই বছরে জিপি অ্যাক্সিলারেটর বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে একটি মানসম্মত পরিচিতি পেয়েছে এই কর্মসূচি।

এক নজরে নির্বাচিত পাঁচটি স্টার্টআপ
সার্চ ইংলিশ
এটি একটি ইংরেজি ভাষা শিক্ষার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। যা প্রায় ১০ লাখ সদস্যকে ফেসবুক, ওয়েবসাইট এবং ওয়েবিনার মাধ্যমে ইংরেজি ভীতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছে।

অনুসার্ভার
এক কথায় অনুসার্ভার যেনো একটি পকেট কল সেন্টার! ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ক্রেতাদের এসএমএস, ফোন কলের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিপণনে সহায়তা দিতে সক্ষম।

সিওয়ার্ক মাইক্রোজব
এটি একটি ক্লাউড সোর্সড মাইক্রো জব প্ল্যাটফর্ম। যেখানে নিয়োগকারীরা কন্ট্রিবিউটরদের জন্য কাজ দিয়ে থাকে। বর্তমাতে সিওয়ার্ক গুগল প্লে-তে বাংলাদেশে ৭ম অবস্থানে আছে এবং এর প্রতি মাসে প্রায় ১৫ হাজার ব্যবহারকারী রয়েছে।

ডিজিটাল মানুষ
এটি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানের জন্য লিড জেনারেটর এবং সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যুক্ত করে। তারা দেশের ৫টি শহরের ১৭০ টি এলাকায় এবং ভারতের একটি শহরে কাজ করছে।

পার্কিং কই
ঢাকা শহরের রাস্তায় অবৈধ পাকিং এবং পাকিংয়ের কারণে যানজট ঠেকাতে একটি উদ্ভাবনী স্টার্টআপ হচ্ছে ‘পার্কিং কই’। এটি গাড়ি চালকদের আশে-পাশের পার্কিংয়ের জায়গা খুঁজে পেতে সাহায্য করবে এবং বাড়ি-স্থাপনার মালিকদের অব্যবহৃত পার্কিং স্পেস থেকে আয়ের ব্যবস্থা করে দিবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শুরু হওয়া গ্রামীণফোনের এই কর্মসূচির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২১ টি স্টার্টআপকে সহায়তা করা হয়েছে।