লক্ষীপুরের রায়পুরের একই পরিবারের ৫ পুরুষ সদস্যই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন তাদের আর্থিক সহায়তা দিলেও তারা চাকুরি চেয়েও পাচ্ছেন না। পরিবারের প্রধান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ মোহাম্মদ ইসমাইল অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।
হাফেজ মোহাম্মদ ইসমাইলের সাথে থাকে তিন ছেলে রহমত উল্লাহ, আয়াত উল্লাহ ও নেয়ামত উল্লাহ। তারা সবাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও দেখতে পান গড়ে ৫ শতাংশ । হাফেজ মোহাম্মদ ইসমাইলের ছোট ছেলে নেয়ামত উল্লাহ বলেন, চোখে ঝাপসা দেখতে পাই। বাবার কাছে মুখস্ত লেখাপড়া শিখেছি। আমার বাবাও লেখাপড়া করেছে মুখস্ত করে। সবাই আমরা এভাবেই পড়াশুনা করেছি। আমি এখন বাবাকে পড়াশুনা শুনাই।
বড় ছেলে রহমত উল্লাহ বলেন, কোরান শরীফ মুখস্ত পড়তে পারি। এছাড়া গান শিখতে ও গাইতে খুব ইচ্ছা করে।
হাফেজ মোহাম্মদ ইসমাইলের বড় বোন আমেনা বেগম একেবারেই দেখতে পান না। আছেন ভাইয়ের সাথে। তবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেউ চাকুরি দেয়নি বলে অভিযোগ তার।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইসমাইল অভিযোগ করে বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বলে কেউ চাকুরি দেয়নি। প্রতিবন্ধী কি চাকুরি করবে এটাই বলে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরিবারের পাঁচটি লোক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় কষ্টকরভাবে জীবন-যাপন করছি। আমাদের সাহায্য করার মতো কোনো মানুষ নাই।
তবে অসহায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরিবারের কথা শুনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তেমনি এক সংগঠন ‘বেড়াই বাংলাদেশ’।
এই সংগঠনের এডমিন মাহমুদ হাসান খান বলেন, সরকারের কাছ থেকে এই ধরনের পরিবার তেমন কোনো সাহায্য পায় না। তাই বিভিন্ন সংগঠের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে এই অসহায় পরিবারের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে পরিবারের জন্য সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে।