পয়লা বৈশাখে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই, প্রতিটি উৎসবমুখর উদযাপন কেন্দ্র ধূমপানমুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মলেন তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, যারা মুখোশ ব্যবহার করবে, তারা যেন মুখোশ মুখে না পড়ে হাতে রাখে, নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভুভুজেলা। নিরাপত্তাজনিত কোন হুমকি নেই, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। আনন্দ করবে সবাই।
কমিশনার বলেন, আমরা মানুষকে নিরাপদে রাখতে রমনা পার্ক কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে থাকি। এই এলাকাগুলো নববর্ষের ‘হ্যাপি জোন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সম্মানিত নগরবাসী পুলিশকে সহযোগিতা করে চেকিং এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করেন। এজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন: আপনারা অনেকে বলে থাকেন উৎসবকে ঘিরে আমরা বিধি-নিষেধ দিয়ে থাকি। এটা রাষ্ট্রের পক্ষে কোন বিধি-নিষেধ না। আপনাকে নিরাপত্তা দিতে আপনার মধ্যে নিরাপদবোধ তৈরি করতে আমাদের এই উদ্যোগ। আপনারা দেখেছেন, বাঙালি সাংস্কৃতির উপর অনেকবার আঘাত হেনেছে কিছু দুষ্কৃতিকারী। তারা বাঙালি সাংস্কৃতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্থা ও সকলের সহযোগিতায় পুলিশ সকল অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে কমিশনার বলেন: ‘যারা মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন, তারা চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। পথের মধ্যে থেকে কোন অবস্থায় শোভাযাত্রার বেষ্টনীর মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না। এছাড়াও কোন কোম্পানিকে তার পণ্যের বা কোম্পানির বিজ্ঞাপন মঙ্গল শোভাযাত্রায় দিতে দেয়া হবে না।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত থাকবে অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হবে।
ইভটিজিং বন্ধে সাদা পোশাকধারী পুলিশ নিয়োজিত থাকবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন: ‘পয়লা বৈশাখে কেউ কেউ ভুভুজেলা বাজিয়ে নারীদের উত্যাক্ত করে। এ জন্য ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট থাকবে, ইভটিজিং ও অনুষ্ঠানস্থলে ধূমপানমুক্ত রাখতে তারা নিয়োজিত থাকবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন: ‘সকল অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য। থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, টহল ডিউটি, ফুট পেট্রোলিং, লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার, পুলিশের সাব কন্ট্রোল রুম, পুলিশ ব্লাড ব্যাংক ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ফায়ার টেন্ডার, এ্যাম্বুলেন্স, নৌ পুলিশের ডুবুরি দল, সমগ্র এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা আওতায় আনা ইত্যাদি। সকল দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়ালি চেকিং এর পর অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।