পেগাসাস হ্যাক নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার বিকাল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু হয় এ বৈঠক। রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে উভয়ের মুখোমুখি দ্বন্দ্বের পর এটাই তাদের প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে মমতা পেগাসাস হ্যাক নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।
দিল্লি সরকারের রওনার আগে পেগাসাস ‘হ্যাক’ কাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, ১৯৫২ সালের তদন্ত আইনের তিন নম্বর ধারার আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ব্যক্তির ‘মোবাইল ফোনের অবৈধ হ্যাকিং বা ট্র্যাকিং বা রেকর্ডিং’ নিয়ে তদন্ত করবে কমিশন। যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি পেগাসাস নামের একটি সফটওয়্যার সারা বিশ্বে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে যার সাহায্যে অভিনব পদ্ধতিতে আই-ফোনের মতো অত্যন্ত সুরক্ষিত স্মার্ট-ফোনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের ৫০ হাজারের মতো মানুষের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে এবং ফোনের ব্যবহারকারীরা এবিষয়ে কিছু জানতেও পারেনি। ইসরায়েলি একটি প্রতিষ্ঠান এনএসও এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে যা বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
ভারতেও এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রের কাছে তদন্ত দাবি জানানল মমতা।
মমতা-মোদি বৈঠক ২০২৪ সালে লোকসভা নিয়ে কথা হয়। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে মর্মে কথা হয়।
তবে মমতা বলছেন, তার আগে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, ত্রিপুরায় ভোট আছে। ত্রিপুরায় আমাদের ছেলেদের আটকে রেখেছে। তাদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।।
বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়ে কথা হয়েছে। মমতা বলেন, এটি অনেকদিন ধরে পড়ে আছে। অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমবার দেখা করলেন মমতা। দু’বছর পর দিল্লিতে গেছেন তিনি।