পশু বর্জ্য থেকে উন্নতমানের কাপড় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে গবেষকরা। এই নতুন কাপড় সিনথেটিক পদার্থের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাবে। সুইজারল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় একটি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এ দাবি করেছে।
‘দ্য সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ইন জুরিখ (ইটিএইচজেট)গবেষক ফিলিপ স্টোলেস তার সহকর্মীদের নিয়ে নতুন যে কাপড় তৈরি করেছেন তা মেরিনো উইলের মতোই উন্নতমানের(মেরিনো উইল ভেড়ার পশম থেকে উৎপাদিত সবচেয়ে দামি উল)।এই কাপড় গার্মেন্টেসেও ব্যবহার করা যাবে।
ইটিএইচজেট’র তথ্যানুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৭০ মিলিয়ন টন কাপড়ের বানিজ্য হয়। কিন্তু এর মাত্র তিনভাগের এক ভাগ কাপড় উৎপাদিত হয় অনবায়ণযোগ্য পদার্থ (পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক) থেকে তৈরি হয়। তারা আরো জানায়,সিনথেটিক পদার্থ তৈরি হওয়ার পর উল এবং তুলা জাতীয় কাপড় বাজার থেকে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে।
স্টোলেসের পদ্ধতিতে সাধারণ একটি কসাইখানা থেকে আহরিত যে পণ্য বা বর্জ্য থেকে অনেক পরিমাণে কাপড় তৈরি করা যাবে। আর এতে পশুর চামড়া, হাড়, গোবরসহ অন্যান্য বর্জ্য ব্যবহার করা যাবে।
স্টোলেস জানান, বর্তমান পদ্ধতির সঙ্গে আরো কিছু যোগ করে মেরিনো উইলের চেয়ে আরো উন্নতমানের কাপড় তৈরি করা সম্ভব।
জিলেটিন-ভিত্তিক টেক্সটাইল ফাইবার আরো পানি প্রতিরোধী করা প্রয়োজন সহ বেশ কয়েকটি বাধা এখনো রয়ে গেছে। আর বড় মাপের বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভাবনার জন্য এই কাপড় তৈরিতে তহবিল সুরক্ষিতের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন গবেষকরা।