রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণে ৫ জন আহতের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। এই বিস্ফোরণে দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
বুধবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. শাহ আবিদ হোসেনকে প্রধানকরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, মিরপুরের পল্লবী থানায় আসামি গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরণের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটির প্রধান যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম)। মিরপুর শাহআলী জোনের একজন এ কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দুজন এসিকে সদস্যরা করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
বুধবার রাতে সাইট ইন্টেলিজেন্স তাদের টুইটার ও নিজস্ব ওয়েব সাইটে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে দায় স্বীকার করে টুইট করেন রিতা কাটজ।
সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপের পরিচালক রিটা কাটজ জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার আগে নতুন লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ঢাকায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করছে আইএস।
২০১৯ সালের আগস্টের পর রাজধানী ঢাকায় আইএসের এটাই প্রথম হামলা বলে জানিয়েছেন রিটা।
তবে পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণে আইএসের দায় স্বীকারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপকমিশনার আ. মান্নান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পল্লবীর ঘটনায় আইএসের দায় স্বীকারের কোনো ভিত্তি নেই। এটি তাদের অবাস্তব দাবি।
এদিকে রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে থানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ একজন সাধারণ নাগরিক আহত হন।
ঘটনার পর আহতদের ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। একজনকে চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (পিএসআই) রুমি ও সাধারণ নাগরিক রিয়াজ ঢামেকে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে রিয়াজের বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া তার ডান হাতের একটি আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটিও রাখা যায়নি। তার পেটে বড় ধরনের ইনজুরি আছে।
সকালে পল্লবী থানা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃঞ্চপদ রায় সাংবাদিকদের বলেন পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি কোন জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় একটি অপরাধীচক্র কোন অপরাধ সংগঠনের চেষ্টা করছিল সে সংবাদটির জানার পর পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে এরপরে ওই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এটি কোন ঘটনা নয় তারা স্থানীয় কোনো অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।