লম্বা লেজ। সারা শরীর লোমে ঢাকা। চোখের কোণে কে বা কারা যেন কাজল ঝুলিয়ে দিয়েছে। রাতের অন্ধকারে চোখ দু’টি যেন পিট পিট করে জ্বলছে। গায়ে আতব চালের মতো সু-গন্ধ। বিড়ালের মতো দেখতে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির চারটি গন্ধগোকুলের বাচ্চা ও একটি বড় মা গন্ধগোকুল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ।
৩০ মার্চ শনিবার বিকালে ওই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে মনু মিয়ার বসত বাড়ি থেকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রাণীগুলো বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৯ মার্চ শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের মনু মিয়া বাড়িতে থাকা কাপড়ের লাগেজ খুলতে গেলে গন্ধগোকুলের চারটি বাচ্চা ও একটি বড় মা গন্ধগোকুল দেখতে পায়। এ সময় লাগেজে থাকা বাচ্চাগুলো আটক করতে পারলেও মা গন্ধগোকুলটি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই দিন রাতেই মনুমিয়া খাঁচার ভেতরে চারটি বাচ্চা দিয়ে বড় গন্ধগোকুলটি ধরার ফাঁদ পাতে। খাঁচার ভেতরে থাকা বাচ্চাগুলো বাঁচাতে মা গন্ধগোকুলটি আসা মাত্রই আটকা পড়ে যায়। পরে সকাল থেকেই বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য মানুষ বিরল প্রজাতির প্রাণীগুলো দেখতে ছুটে আসেন ওই বাড়িতে ।
এলাকাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ অনেকের বসতবাড়ি থেকে কবুতরের বাচ্চা, হাঁস মুরগির ডিম, রান্না ঘরে ঢুকে শাক-সবজি খেয়ে চম্পট দিচ্ছে প্রাণীটি। প্রাণীটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অনেক দিন ধরে ফাঁদ পেতেও ধরা যাচ্ছিল না প্রাণীটি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা ইয়াছমিন বলেন, ওই গ্রামে বাসেকা পাওয়া গেছে খবর পাওয়ার পর ওই গ্রামে গিয়ে দেখি বাসেকা নয় এগুলো গন্ধগোকুল। পরবর্তীতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে ওই গ্রামে আসতে বলা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর এটাকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে। এটা বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির একটি প্রাণী।