গেল আগস্ট মাস থেকে পুরো দেশ থেকে তুলে দেয়া হয়েছে করোনার বিধি নিষেধ। বন্ধ বা নিয়ন্ত্রিত অনেককিছুর মতো পর্যটন স্পটগুলোও চালু হয়েছে। পর্যটকদের আনাগোনায় আবারও ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পট। সেইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘটেছে বেশ কিছু অনাকাঙ্খিত মৃত্যু।
কিশোরগঞ্জের হাওরে ঘুরতে গিয়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু, থানচির বড় পাথরের প্রবল স্রোতে তরুণের মৃত্যু, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সিরাজ লেকে তরুণের মৃত্যু, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু। গেল কয়েক সপ্তাহ হলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব সংবাদ শিরোনাম হয়েছে।
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গত ৫ বছরে কক্সবাজার সমুদ্রে গোসল করতে নেমে মৃত্যু হয়েছে ১৯ পর্যটকের, উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫৪ জনকে। সারাদেশের বিভিন্ন স্পটে ননা দুর্ঘটনার হিসেব করলে তা আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দেশের প্রচলিত পর্যটন স্পটগুলোর বাইরেও নিত্য নতুন বিভিন্ন স্পট পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। কক্সবাজারের মতো প্রচলিত স্পটে যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার থাকার পরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যু হচ্ছে, আর অপ্রচলিত বা নতুন স্পটগুলোতে বলতে গেলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নেই বা প্রশাসনিক কোনো বিশেষ নজরদারিও নেই।
হাওরে লাইফজ্যাকেট পরে ভ্রমণ, পাহাড়ী এলাকায় প্রশিক্ষিত গাইড আর নদী-লেকের জোয়ারভাটা নয়তো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সতর্কতা বিজ্ঞপ্তি থাকার মতো নিয়ম-কানুন আর পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার জরুরি বলে আমরা মনে করি।
দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে মানুষজন নাগরিক জীবনে হাঁপিয়ে উঠেছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলতেই তারা একটু স্বস্তি পেতে ভ্রমণ করতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু অনেকসময় স্বস্তির সেই ভ্রমণ হয়ে উঠছে বেদনার। বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ নজর প্রয়োজন।