যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কের নীচে তিনশর বেশি আগ্নেয়গিরি আছে যেগুলোর বিস্ফোরণ অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। বর্তমান বিশ্বে এর থেকে ভয়াবহ টাইম বোমা আর কিছুই হতে পারে না।
পার্কের আগ্নেয়গিরিগুলো বহু দশক ধরে ভূতাত্বিকদের ধাঁধার মধ্যে রেখেছে। কিন্তু একদল গবেষক সিসমিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাটির নিচে স্ক্যান করে এক ভয়াবহ সত্য উদঘাটন করেছেন। উথাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, আগে যা ধারণা করা হয়েছিলো এই আগ্নেয়গিরিগুলো তার থেকেও বেশি বিশাল।
এ গবেষণা কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে বিশ্বের বড় বড় আগ্নেয়গিরিগুলোর বিস্ফোরণ কেনো হয়েছিলো তা গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করছে। তবে গবেষকরা বলেন, গবেষণার অর্থ এই নয় যে আগের তুলনায় এখন সেখানে অনেক বেশি আগ্নেয়গিরি আছে। আবার এটাও না যে, যে কোনো সময় এগুলো বিস্ফোরিত হতে পারে।
কিন্তু যখন এগুলো জেগে উঠবে তখন পুরো পৃথিবীর চেহারা পাল্টে যাবে। ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত করবে। নির্গত গলিত লাভার করণে বিভিন্ন জায়গায় গভীর গর্ত হয়ে যাবে। ২০০৩ সাল থেকে পৃথিবীর তাপমাত্রা এতো বেশি বেড়েছে যে ইয়োলোস্টোনের মাটি উত্তপ্ত হয়ে এখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
ইয়োলোস্টোনের আগ্নেয়গিরিগুলো বিস্ফোরিত হলে বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়বে এবং পৃথিবীর জলবায়ুতে ভয়ানক পরির্বতন নিয়ে আসবে।
তাই জাতীয় পার্কের কর্তৃপক্ষ ইয়োলোস্টোন এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন যেন তাদের পা পুড়ে না যায় বা উত্তপ্ত মাটিতে তাদের গাড়ির চাকা ফেটে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
ইয়োলোস্টোনের আগের বিস্ফোরণগুলো কতোটা ভয়াবহ ছিলো তা বুঝতে হলে ১৮১৫ সালের মাউন্ট তাম্বোরার বিস্ফোরণের ইতিহাস দেখতে হবে। এতে প্রায় ১০ হাজার ইন্দোনেশিয়ান নিহত হয়েছিল। এর ছাইমেঘ সূর্যের আলো আসতে বাধা তৈরি করে জলবায়ুকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলো যার জন্য ১৮১৬ সালকে ‘গ্রীষ্ম বিহীন বছর’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।