চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পর্যটন কেন্দ্রগুলো ব্যবহারে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে

আগামী ১৯ আগষ্ট থেকে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে মেনে চলার জন্য ট্যুর অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি এক আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাবেদ আহমেদ বলেন, এই খাতের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে এমন অভিযোগ যেনো করতে না পারে সেই চেষ্টা করতে হবে সবাইকে। এর জন্য তৈরি করা এসওপি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। না হলে আবারও বিপদের পড়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন এমিউজমেন্ট পার্ক এন্ড এট্রাকশনস বাপা সভাপতি শাহরিয়ার কামাল বলেন, সরকার যে বিশ্বাসের উপর পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছে তা যেনো সবাই ধরে রাখতে চেষ্টা করে।

ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার টোয়াক এর সভাপতি এম রেজাউল করিম রেজা বলেন ট্যুরিজম বোর্ড যেনো মাঠ পর্যায়ের পর্যটন কর্মীদের খোঁজ খবর রাখে এবং ব্যাংক থেকে সহজে ঋণ পেতে পারে সেই সহযোগিতা করে।

বিডি ইনবাউন্ডের সভাপতি রেজাউল ইকরাম রাজু বলেন দীর্ঘদিন পরে খুলে দেওয়াতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ দুঃসময়ে এই খাতের দিকে সরকার নজর দেয় নাই। তবে অন্যান্য খাতের মতো দাবি আদায়ে একটি সম্মিলিত প্লাটফর্ম গঠনের জন্য বলেন তিনি। তার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে টোয়াবের সভাপতি বলেন সরকারের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কথা বলার জন্য সব সংগঠন মিলে একটি ফেডারেশন গঠন করা উচিত। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রুত তাদের বার্তা পৌঁছাতে পারবেন।

ট্যুরিজম ডেভেলপারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ টিডাব এর চেয়ারম্যান সৈয়দ হাবিব আলী বলেন তাদের দাবি দাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে যায়নি এ জন্য মন্ত্রণালয় ঠিকমতো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এখন যেভাবে পর্যটন কেন্দ্র খুলেছে তা ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এটা যাতে না হয় তার জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ট্রিয়াব এর সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন গার্মেন্সসহ অন্য খাত যদি বন্ধ না থাকে তাহলে পর্যটন খাতও বন্ধ হতে পারবে না। এর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিবাদি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ টোয়াবের সভাপতি মোহাম্মদ রাফেউজ্জামান সরকার যে ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তাতে ট্যুর অপারেটরদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, এসএমই লোন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্যাক্স ফ্রি করার জন্য ট্যুরিজম বোর্ডের সহায়তা চান।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ বলেন, ট্যাক্সের বিষয়টি সমাধানের জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে। তারা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখবেন। সরকারকে আস্থার মধ্যে নিয়ে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান। ৫০ শতাংশ ব্যবহার করা হবে এটি পর্যটন স্পটে কিভাবে প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে সবাইকে ভাবতে বলেন।

এসএমই কিভাবে ট্যুর অপারেটররা পেতে পারেন এ নিয়ে তিনি নিজে কথা বললেন প্রতিষ্ঠানে সঙ্গে আর প্রণোদনা পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় যথা স্থানে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে জানান ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও।