ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আসেন লাখ লাখ পর্যটক। অন্যবছরের তুলনায় এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হওয়ায় পর্যটক বাড়বে, আর এতে বেশি লাভের আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পর্যটক আকর্ষণে কক্সবাজারের হোটেল রেস্তোরাগুলোকে সাজানো হচ্ছে আকর্ষণীয় সাজে। দেয়ালের পুরনো আস্তর তুলে লাগানো হচ্ছে প্লাস্টিক পেইন্ট কিংবা ডিসটেমপার। চলছে ধোয়ামোছা ও রঙ লাগানোর প্রতিযোগিতা।
কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন জানান, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব ও টুরিস্ট পুলিশ মিলে সমন্বিত একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোগগুলো যথাযথভাবে পালন করা হলে আমরা পর্যটকদের যথেষ্ট নিরাপত্তা পাবো বলে আশা করছি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার অগ্রীম বুকিং এর জন্য ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বেশি ছুটি থাকায় সেই সংখ্যাটা বেশি। শুধু হোটেল মোটেল ব্যবসায়ী নয়, নতুন নতুন পণ্য উঠিয়েছেন সাগর পাড়ের ব্যবসায়ীরাও।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ থাকবে। ট্রাফিক ব্যব্স্থা থাকবে। টুরিস্ট পুলিশও থাকবে। পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবিকে অনুরোধ করেছি পর্যটকদের নিরাপত্তায় সহযোগিতা জন্য।
কক্সবাজার জেলা সদরের বাইরের রামু, মহেশখালী, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো সাজছে নতুন নতুন সাজে।