২০১৭ প্রায় শেষের পথে। একবিংশ শতাব্দীর এই পর্যায়ে এসে অনেকের কাছেই ‘পর্ন’ আর লুকোচাপার কোন বিষয় না। মুফতে পাওয়া পর্ন ওয়েবসাইটগুলো যেমন জনপ্রিয়তার উপরের দিকে, তেমনি পর্নগ্রাফির ব্যবসাও অনেক দেশেই বৈধ।
১৯৭০ এর দশকের শুরুর দিকে বিষয়টা এত সহজ ছিল না। অবৈধ ছিল এই ব্যবসা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পর্নগ্রাফিকে অনেক দেশে এখন শিল্প মনে করা হয়। আর এতে অংশগ্রহণকারীরা শিল্পী হিসেবেও পরিচয় পায়।
গত চার দশকে পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং তার পেছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে।
পর্ন যখন বৈধ
এখনকার মতো ফিল্ম হিসেবে না থাকলেও হাজার বছর ধরেই পর্নগ্রাফির প্রচলন ছিল। কখনও ছবিতে কিংবা কখনও দেয়ালচিত্রে। সত্তরের দশকে পর্নগ্রাফি অবৈধ থাকলেও গোপনে ফিল্ম তৈরি হতো। পর্ন দেখলে কিংবা নির্মাণের সময় ধরা পড়লে গ্রেফতার হওয়ার ভয় ছিল। বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই পর্ন এখনো অবৈধ। তবে অনেক দেশেই আবার বৈধ। সেসব দেশে নির্মাতারা নির্ভয়েই তৈরি করছেন পর্ন ফিল্ম।
যৌনকর্মী থেকে সেলিব্ররেটি
পর্ন’র সঙ্গে জড়িত অনেকে এখন তারকা, রীতিমতো সেলিব্রেটি। কিন্তু সত্তরের দশকে যখন পর্ন ফিল্ম তৈরি মাত্র শুরু হয়েছিল, তখন একদম সাধারণ যৌন কর্মীরাই এতে অভিনয় করত। তাদেরকে পথের ধারে কাস্টমার খুঁজতেও দেখা যেত।
ইন্ডাস্ট্রি এখন অনেক বড়
জিয়েনি সিলভার ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত পর্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন। এখন অবসর নিয়েছেন। তিনি জানান, তখন এই ইন্ডাস্ট্রি ছিল একদম ছোট, সাধারণ। অল্প কিছু মানুষ জড়িত ছিল এই ব্যবসায়। তাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল। কিন্তু এখন ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড় হয়েছে। অসংখ্য মানুষ এই ব্যবসায় জড়িয়েছে।
কৃত্রিমতা পেরিয়ে আসা পর্নগ্রাফি
আগে পর্ন তারকারা নিজেদের ফিগার নিয়ে তেমন সচেতন ছিল না। আশির দশকের পরে তারা জিমে যাওয়া শুরু করে আকর্ষণীয় হওয়ার জন্য। অনেকেই ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টও করেছে এরপর। বিশেষ করে আশি এবং নব্বইয়ের দশকে ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টের বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন কৃত্রিমতা কমে এসেছে। পর্ন সাইটগুলোর অনেকগুলোতেই কৃত্রিমতা বর্জিত ফিল্মগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
কমবয়সীদের অংশগ্রহণ
নব্বইয়ের দশকের আগেও পর্ন স্টারদের গড় বয়স ছিল ২৫। বেশির ভাগ শিল্পীই আগে স্ট্রিপ ক্লাবে নাচতেন অথবা যৌন কর্মী ছিলেন, এরপর পর্নগ্রাফি শুরু করেছেন। কিন্তু এখন অনেক কম বয়সীরাও অংশ নিচ্ছেন। কেউ কেউ ক্যারিয়ার শুরুই করছেন পর্ন-’র মাধ্যমে। তবে, ১৮ বছরের নিচে পর্ন ছবিতে অংশ নেয়া অবৈধ।
নানা ধরনের পর্ন
পর্ন সাইটগুলোতে এখন অসংখ্য ক্যাটাগরির পর্ন ফিল্ম পাওয়া যায়। দর্শকরা নিজেদের পছন্দমতো বেছে নেন সেখান থেকে। কিন্তু সত্তর এবং আশির দশকে এত ধরনের পর্ন ছিল না। তখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে বৈচিত্র্য খুবই কম ছিল। কম বাজেটে তৈরি হতো বলে এখনকার মতো ‘স্টেট অফ দ্যা আর্ট’ করেও বানানো যেত না পর্ন ছবি।
শুধুই পুরুষের জন্য নয়
পর্ন এখন আর শুধুই পুরুষের জন্য নয়। আশির দশক পর্যন্তও মনে করা হত পর্ন শুধুই পুরুষের জন্য। নারীদের চাহিদার কথা ভেবে পর্ন তৈরি হতো না তখন। কিন্তু এখন নারীর কথা ভেবেও পর্ন ছবি হচ্ছে। পর্ন সাইটগুলোতেও নারী দর্শকের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। অনেক নারীও পর্ন নির্মাতা হিসেবে কাজ করছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। মেনজ হেলথ