বিগত বছরগুলোর মত এবছরও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৬তম আসর। যা আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসে কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসবটি অনুষ্ঠিত হলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে জানুয়ারি মাসে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
গেল শনিবার (২ জানুয়ারি) ২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের থিম সং, লোগো ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার ট্রফির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, পরিচালক তথা উৎসবটির সভাপতি রাজ চক্রবর্তী, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী পাওলি দাম এবং তথ্য অধিকর্তা তথানন্দনের সিইও মিত্র চট্টোপাধ্যায়।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, সম্পূর্ণ কোভিড নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠিত হবে এবছরের চলচ্চিত্র উৎসব। এমনকি এবছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বহু মানুষের উপস্থিতিতে মহাসমারোহে নয় বরং অনুষ্ঠানের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বিশেষ কোনো অতিথিও উপস্থিত থাকবেন না এবারের আন্তজার্তিক চলচ্চিত্র উৎসবে। মূলত সুরক্ষা বিধির কথা মাথায় রেখেই সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া জানা গেছে, শিশিরমঞ্চ, নন্দন, রবীন্দ্রসদন সহ সরকারি ৬টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের ছবিগুলো। যা দেখতে অনলাইনে বুক মাই শো-তে টিকিট কাটা যাবে। যেখানে কোনো বাড়তি খরচ হবে না। করোনার কারণে ৫০ শতাংশ সিট নিয়ে এবার প্রেক্ষাগৃহে বসে সিনেমা দেখা যাবে।
এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ইতালি’। চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ছবি হিসেবে থাকবে সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’।
সেই সাথে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশত বার্ষিকী এবং সম্প্রতি প্রয়াত শক্তিশালী অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়াও উৎসবে প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে সেরা ছবিকে রয়্যাল বেঙ্গল গোল্ডেন ট্রফি-র পাশাপাশি দেওয়া হবে ৫১লক্ষ টাকার পুরস্কার।
দেশ-বিদেশের ৮১টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৫০টি স্বল্পদৈর্ঘ্যে সিনেমা দেখানো হবে এ উৎসবে। কলকাতার আটটি সরকারি প্রেক্ষাগৃহে ছবিগুলো দেখানো হবে।
এবছর বাংলাদেশ থেকে এই উৎসবে দেখানো হবে ‘নোনাজলের কাব্য’। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত।