গায়ানার মন্থর উইকেট নিয়েছে ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য-পরীক্ষা। দেরিতে বল ব্যাটে আসার বিভ্রমের সঙ্গে সুইং, টার্নের মুখে সহজাত শটস খেলার সুযোগ তেমন ছিল না। শুরুতেই এনামুলের উইকেট হারানোয় তামিম-সাকিবকে খেলতে হয়েছে আরও সতর্ক হয়ে। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ২২ গজের আচরণ ও পরিস্থিতি বুঝে এমন ব্যাটিংকে ‘বড় প্রাপ্তি’ হিসেবেই দেখছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
সোমবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলা। প্রথম ১০ ওভারে আমরা মাত্র ৩০ রান করেছি। যেটা আমাদের খেলা নয়। সাকিব-তামিম দুজনই স্ট্রোকমেকার। কিন্তু উইকেট থেকে সেই সুবিধা তারা পাচ্ছিল না। আমি খুশি এই কারণে, তারা কেউই জোর করে মারতে গিয়ে আউট হয়নি। তারা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে পেরেছে।’
‘এই উইকেটে শুরুতে রান না করতে পারলেও শেষের দিকে রান করা সম্ভব। ওরা (তামিম-সাকিব) যদি ৪০ ওভার পর্যন্ত না খেলত, আমার মনে হয় না এতো রান হত। কেননা নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য সবসময় কঠিন ছিল উইকেট। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া ছিল।’ -বলেন হাবিবুল।
শুরুতেই এনামুলের উইকেট না হারালে হয়ত আরেকটু হাত খুলে মারার সুযোগ থাকত তামিম-সাকিবের সামনে। পরিস্থিতি বুঝে এগিয়ে সাকিব-তামিম গড়ে ফেলেন ২০৭ রানের রেকর্ড জুটি। যেটিই কিনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে গড়ে দেয় বড় পার্থক্য। ২৭৯ রান তোলার পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৮ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে লিড(১-০) নিয়েছে বাংলাদেশ।
দুর্দান্ত জয়ে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলারদেরও কৃতিত্ব দিচ্ছেন হাবিবুল, ‘কন্ডিশন অনুযায়ী আমরা ভালো বল করেছি। গায়ানার কন্ডিশন আমাদের সঙ্গে বেশ ভালো মানায়। ২০০৭ সালেও আমরা ওখানে খেলেছি। একটু চিন্তিত ছিলাম এবার ওই কন্ডিশনটা পাওয়া যায় কিনা। যেটা বললাম, বোলাররা কন্ডিশনটা খুব ভালো মতো ব্যবহার করতে পেরেছে। সবকিছু মিলিয়ে আমি দারুণ খুশি।’