চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পরিমিত খান ঈদের দিনে

এক মাস রোজা থাকার পর ঈদের দিনে খাবার রুটিনটা একটু পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই এই পরিবর্তনের সাথে মিলিয়ে খাবার খেতে হবে পরিমিত। নাহলে হজমে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।

ঈদের দিনের খাবারের তালিকায় সবজির পরিমাণ কম এবং মাছ, মাংস, মিষ্টি জাতীয়, অধিক মশলাযুক্ত, ড্রিংকস এই জাতীয় খাবার বেশি থাকে। ঈদের খাবারের রান্নায় পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন মাংস রান্নায় মশলা কম, চর্বি আগেই কেটে ফেলতে হবে। এছাড়া হাঁড়িতে রান্না না করে ওভেনে রান্না করতে পারেন তাহলে তেল কম লাগবে। অন্যদিকে বার-বি-কিউ, গ্রিল খেলেও তেল, মশলা কম লাগবে। ডেজার্ট হিসেবে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেও, সেখানে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন। রসে ডোবানো মিষ্টি না খেয়ে ছানা জাতীয় কিংবা ফলমূল দিয়ে ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন।

রোজা শেষ হওয়ার পরে ঈদে অতিরিক্ত খেতে নিষেধ করেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান। ডা. এম এ মান্নান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, অতিরিক্ত ভোজন মানেই অতিরিক্ত ওজন। রোজায় যেই সংযম করা হয়, সেই সংযমের অভ্যাস পুরো বছরই থাকা উচিত। রোজা শেষ হওয়ার পরে হুট করে অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া করলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। খাবারের পরিমাণ হুট করে না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে।

ঈদের দিন গোগ্রাসে না খেয়ে বরং একটু বিরতি দিয়ে অল্প অল্প খাবার খান। অন্তত তিন-চার ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান। তাহলে হজম ভালো হবে।