সচেতনতা আর সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে দেশকে আরো এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন এবার জাতীয় পরিবেশ ও বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পদকপ্রাপ্তরা।
জাতীয় পরিবেশ পদক ২০১৫ প্রাপ্ত এডভোকেট মুনজিল মোরশেদ বলেন, পদকপ্রাপ্তি একটা স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি তাদের কাজের গতি আরো বাড়াবে। এটা সবাই আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করে, বিশেষ করে সরকারি স্বীকৃতি।
প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় পরিবেশ পদক গ্রহণের পর পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আরো দায়িত্ব বেড়ে গেছে বলে মনে করেন জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্তরা।
পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য চ্যানেল আই এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের পক্ষে পদকপ্রাপ্তির পর এবার ব্যক্তি হিসাবে জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্তিকে খুবই গুরত্বপূর্ণ মনে করছেন মুকিত মজুমদার বাবু।
তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত কাজের স্বীকৃতি এটা। পুরস্কার পেতে অবশ্যই ভালো লাগে, তবে পুরস্কার দায়িত্ব অনেক বাড়িয়ে দেয়। পুরস্কার পেলে যেন ভুলে না যায় যে কাজটি করছি। আমি আমার টিমের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা সাহায্য না করলে পদকপ্রাপ্তি সম্ভব হতো না।
বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পদকপ্রাপ্তরা আশা করেন পরিবেশ রক্ষায় তারা আরো এগিয়ে যেতে পারবেন সম্মিলিত চেষ্টায়।
বঙ্গবন্ধু ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন এ্যাওয়ার্ড ২০১৫ প্রাপ্ত মনিরুল হাসান খান, এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজের পদক। আমি খুবই খুশি যে আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই পুরস্কার আমি পেয়েছি। বন্যপ্রাণী ও তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণে ভবিষ্যতে আরো বেশি কাজ করতে আমি উৎসাহিত বোধ করছি।
বৃক্ষরোপন ও বনসংরক্ষণে অবদানে পুরস্কার নতুন প্রজন্ম আর প্রতিষ্ঠানকেও দায়িত্বশীল করবে বলে মনে করেন পুরস্কারপ্রাপ্তরা।
বৃক্ষরোপনে মুন্সিগঞ্জের প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল বলেন, প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপন করাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
তারা আশা করেন, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে তাদের পদকপ্রাপ্তি অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।