পরিবেশবান্ধব ও টেকসই দেশ এবং পৃথিবীর লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন ও ভিন্নধর্মী আইডিয়া-প্রকল্পে অর্থায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন। তবে এই অর্থ পেতে হলে অংশ নিতে হবে প্রতিযোগিতায়। আর এই প্রতিযোগিতারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেলো আজ।
রোববার সকাল ১১:৩০ মিনিটে এক ভার্চুয়াল সভায় এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। পরিবেশ বান্ধব এবং এতে অন্তর্ভুক্ত সকল ব্যবসার ধারণাভিত্তিক রিয়েলিটি শো এর উদ্বোধন ঘোষণা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ। প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই অর্থায়ন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার মোর্শেদ. গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিআইবিএম প্রফেসর ড. শাহ মোঃ আহসান হাবিব।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে ১০টি প্রকল্প চূড়ান্তভাবে বাছাই করে তাদের প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করা হবে। সেই সাথে নতুন উদ্দ্যোক্তাদের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট রেজিষ্টেশনেও সহায়তা করা হবে।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত যে কেউ এই আয়োজনে তাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারবেন। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তাও ছাড়াও গ্রুমিং করা হবে। প্রপোজাল জমা দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে হবে www.greenibc.org.
ড. আতিউর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ধীরে ধীরে হলেও এদেশের মানুষের মনের সবুজায়ন ঘটছে। এখন অর্থের অভাব নেই, এই সংশিষ্ট উদ্যোগে একটি ভরসার পরিবেশ সৃষ্টি এবং সর্বসাধারণকে সংযুক্ত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। তিনি তরুণদের মধ্যে এই ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার উপর জোর দেন। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার কথা বলেন।
সভাপতির বক্তবে প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুল মজিদের বলেন, বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লব সৃষ্টির যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেখানে যারা পথিকৃৎ ছিলেন, তাদের সঙ্গে নিয়েই আজকের এই আয়োজন। তিনি সবাইকে এই আয়োজনে সংযুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি সাবের হোসেন চৌধুরী আয়োজনের সাফল্য কামনা করে বলেন, এ বছর বঙ্গবন্ধুর অনন্মশত বার্ষিকীর সাথে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। এই সময়ে এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। আগামীর সমৃদ্ধ এবং সবুজ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পরবর্তী ৫০ বছর হবে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে মাইলফলক। অস্তিত্বের সংকট বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সারবিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদের বর্তমান চাহিদা মেটানোর জন্য টেকসই উন্নয়ন আমাদের চ্যালেঞ্জ।