বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট। তাও আবার নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে। সেরা বোলিং আক্রমণের সামনেই তরুণ ওপেনার মাহমদুল হাসান জয় খেলেছেন ৭৮ রানের ঝলমলে ইনিংস। খেলেছেন ২২৮ বল।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে জয় দেখিয়েছেন টেস্টের মেজাজ। ধৈর্য নিয়ে উইকেটে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে তরুণ ওপেনার জানালেন, রানের ক্ষুধার চেয়ে বল নষ্ট করার তাগিদ ছিল বেশি।
‘আমার পরিকল্পনাই ছিল বেশি রানের দিকে যাবো না, যতবেশি বল খেলব তত সেট হতে পারব, রান এমনিতেই আসবে। আমার পার্টনার সাদমান ভাই, শান্ত ভাই, সৌরভ (মুমিনুল) ভাই সবসময় বলেছে যে উইকেটে যত থাকবা দেখবা রান চলে আসবে। এইটাই ছিল শান্ত থাকার পেছনে।’
জয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি জুটি গড়ে ওঠে টপঅর্ডারের ব্যাটারদের। শুরুতে সাদমান ইসলামের সঙ্গে ওপেনিং জুটি ৪৩, দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ১০৪, আর তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হকের সঙ্গে ৩৭ রান।
সেই সময়টায় কেমন পরিকল্পনা ছিল? জয় জানালেন, ‘ব্যাটিংয়ের শুরুর দিকে আমার আর সাদমান ভাইয়ের পরিকল্পনা ছিল নতুন বলটা কীভাবে পুরনো করা যায়, আর বল বাই বল খেলব। আমরা যদি বেশি লম্বা চিন্তা করি তাহলে হয়তবা সফল নাও হতে পারে, কিন্তু বল বাই বল খেললে ওটাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি থাকে।’
‘আমাদের পার্টনারশিপটা ভালোই হয়, যখন শান্ত ভাই আসে তার সঙ্গেও পার্টনারশিপটা অনেক ভালো হয়। কিছু কিছু সময় যখন শটস খেলার জন্য বেশি আক্রমণাত্মক হই তখন উনি আমাকে নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য বলেন। তারপর মুমিনুল ভাইয়ের সঙ্গেও পার্টনারশিপ হয়, উনিও আমাকে একই কথা বলেন। যখন বেশি ডট বল হয়, তখন বলেন ডট বল হলে সমস্যা নেই কন্টিনিউ করতে থাকো।’