স্বপ্ন ধরা দিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পদ্মার গভীরে আসন গেড়ে পাইল এখন রূপ নিচ্ছে পিলারে। নদীর উপরে উঠে দাঁড়িয়েছে কাঠামো। সেপ্টেম্বরেই পিলারের ওপর বসবে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান, যাতে দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
আমাজনের পর সবচেয়ে খরস্রোতা নদী পদ্মা। এর উত্তাল ঢেউকে বশ মানিয়েই এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতুর কাজ। কল্পনার ছবি থেকে এবার পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতুর পিলার।
নদীর পানির স্তর থেকে ৫০ ফুট উপরে উঠছে সেতু। ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর এ দুটি পিলারের মাঝেই বসবে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বা দৃশ্যমান অংশ। পাইলের কংক্রিট আর ক্যাপ লাগানো শেষে চলছে কলাম তৈরির কাজ।
মাওয়া অংশের ১৭টি পাইলের ডিজাইনও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। চলতি মাসেই পদ্মার জাজিরা অংশের মতো মাওয়া অংশের কাজও জোরেশোরে শুরু হবে। কাজের গতি বাড়াতে সিংগাপুর থেকে আনা হচ্ছে আরও দুটি হাইড্রোলিক হ্যামার।
পদ্মা নদীর ভেতরে ১৫০ মিটার পরপর ৪২টি পিলারে ৬টি করে ২৫২টি পাইল থাকছে। যার মধ্যে ২৮টি পাইলের কাজ শতভাগ এবং ৫৮টির শেষ হয়েছে অর্ধেক।
মাওয়া পাড়ের ওয়ার্কশপে চীন থেকে আনা স্প্যানের অংশগুলোকে জোড়া দিয়ে ৫টি স্প্যান প্রায় প্রস্তুত করা হয়েছে। আর প্রথম যে স্প্যানটি নদীর ওপর বসানো হবে, শেষে সেটিকে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ওয়ার্কশপের ভেতরে। নদীর মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল একটি ক্রেন দিয়েই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২ হাজার ৯শ টন ওজনের একেকটি স্প্যান বসানো হবে।
পদ্মা সেতুর রং হবে সোনালী। তবে রাতের বেলায় সেতুর গায়ে জ্বলবে পতাকার রং লাল সবুজের বাতি। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পদ্মার দুপাড়েই চলছে ২৪ ঘণ্টার কর্মযজ্ঞ। দিনের সূর্য ডুবতেই ক্লান্ত শ্রমিকদের একদল ফিরে যায়। রাতের আকাশে সৌন্দর্য্যের মহিমায় ফুটে ওঠা চাঁদের সঙ্গে কাজে যোগ দেয় রাতের পালার শ্রমিক।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: