‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালি। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টারি প্যানেলের মিটিং এ তাকে ছেড়ে কথা বলেন নি কেউ। বিশেষ করে কমিটির চেয়ারম্যান অনুরাগ ঠাকুর ছিলেন তাদের নেতৃত্বে। শেষমেশ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আরেক প্রভাবশালী নেতা লাল কৃষ্ণ আদবানি।
সেখানে তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে নানাবিধ প্রশ্ন করা হয়। অবশেষে তিনি জানিয়ে দেন এই ছবিটি ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। বরং ১৫৪০ খ্রীষ্টাব্দে সুফি কবি মালিক মহম্মদ জয়শির লেখা ‘পদ্মবত’-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের নেতৃত্বে তৈরি ৩০ সদস্যের এই পার্লামেন্টারি প্যানেলে ছিলেন লাল কৃষ্ণ আদবানি, রাজ বব্বর, পরেশ রাওয়ালের মত কংগ্রেস ও বিজেপির সদস্যরা। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা তাঁকে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্ন করা হয়, ছবিটিতে যে চরিত্রগুলি ব্যবহার করা হয়েছে তা ইতিহাসে সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। তাহলে কীভাবে বলছেন ছবিটি কাল্পনিক চরিত্রের ওপর নির্ভর করে তৈরি বলে বলা হচ্ছে ।
অন্যদিকে, ছবিতে দেখানো জওহর প্রথা নিয়েও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে বলা হয়, সমাজে যখন সতীদাহ প্রথাকে আইন করে বন্ধ করা হয়েছে, তখন এই প্রথা কীভাবে ছবিতে তুলে ধরা হল? প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তাঁকে নানাবিধ বিষয়ে প্রশ্ন করার পরই পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালি জানিয়ে দেন, ‘পদ্মাবতী’ ইতিহাস বিকৃত করে তৈরি হয়নি। বরং, মালিক মহম্মদ জয়শির লেখা ‘পদ্মবত’-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
যদিও তাঁর এই সাফাই এখনই সন্তুষ্ট করতে পারেনি ওই কমিটিকে। প্রয়োজনে বানসালীকে ফের ডাকা হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছে কমিটি।
এদিকে ব্যাপারটির সমাধানে ছয় সদস্যের বিশেষ এক কমিটি করেছে চলচ্চিত্র অনুমোদন সংস্থা। ব্যাপারটির সমাধানে সে কমিটিতে রাখা হয়েছে চারজন ইতিহাসবিদকে।
তারাই খতিয়ে দেখবে এতে কতটুকু ইতিহাসের বিকৃতি ঘটেছে। এদিকে সিবিএফসি চেয়ারম্যান যোশির দাবি বোর্ডে ‘পদ্মাবতী’ জমা পড়েছে ১১ নভেম্বর। এখন নিয়ম অনুসারে অন্তত ৬৮ দিন লাগার কথা অনুমোদনের জন্য । তাহলে বানসালী কি করে ১ ডিসেম্বর ছবি মুক্তির আশা করেছিলেন ?
এছাড়া এরই মধ্যে গেল মঙ্গলবার পদ্মাবতী সিনেমা নিয়ে নোংরা রাজনীতির জন্য ১৫ মিনিটের ব্ল্যাক আউট পালন করেন টলউড শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তারা একই সাথে ১৫ মিনিট ধরে কাজ বন্ধ রেখে স্টুডিও এর বাইরে দাঁড়িয়ে কালো ব্যাজ পড়ে প্রতিবাদ জানান।