টাঙ্গাইল-তারাকান্দী সড়কের ভুঞাপুর থেকে সোনামুই বাজার পর্যন্ত ১৬ কি.মি রাস্তা সংস্কার ও ভুঞাপুরের উত্তর জগৎপুরা থেকে কুঠিবয়ড়া বাজার পর্যন্ত যমুনা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে ১৬ কি.মি রাস্তা পদযাত্রা করে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সড়কে ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গোপালপুর উপজেলার সোনামুই বাজার পর্যন্ত ১৬ কি.মি পাকা রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে। হয়ে পড়েছে যান চলাচলের অনুপোযোগী।
অথচ এ সড়কটিই তারাকান্দীতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় উৎপাদিত ইউরিয়া সার উত্তরবঙ্গে পরিবহনের প্রধান সড়ক। এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় লোকজনসহ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, জামালপুরের সরিষাবাড়ী ও কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার অনেক মানুষ দ্রুততম সময়ে ঢাকার সাথে যোগযোগের জন্য ব্যবহার করে থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর, গোপালপুর, ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী ও কালিহাতী উপজেলার লাখ লাখ মানুষকে বন্যার হাত থেকেও রক্ষা করে থাকে।
ব্যস্ততম সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও প্রাচীণ জনপদ দু’টিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত গোপালপুর উপজেলার সোনামুই বাজার থেকে ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পদযাত্রা করে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানায় এলাকাবাসী।
পদযাত্রার সমন্বয়কারী হাঁজী ইসমাইল খাঁ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস ছাত্তার খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নীরব ভূমিকার কারণে জনগণ বাধ্য হয়ে আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের শুভ বোধের উদয় হবে এবং জনগণের ন্যায়সংঙ্গত দাবি মেনে নিয়ে দুর্ভোগ লাঘবে সচেষ্ট হবে।