পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শিনজো আবে জানান, তিনি চান না তার অসুস্থতা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে বাধা তৈরি করুক। অফিসে তার মেয়াদ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য জাপানীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
৬৫ বছর বয়সী আবে দীর্ঘদিন যাবৎ আলসারেটিভ কোলাইটিসে ভুগছেন। এটি অন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যা। কিন্তু সম্প্রতি তার অবস্থা খারাপ হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত বছর জাপানের সবচেযে দীর্ঘসময় ব্যাপী প্রধানমন্ত্রীত্ব করা ব্যক্তি হন তিনি। ২০১২ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার এবারের অফিস সময়কাল শুরু হয়।
কিশোর বয়স থেকেই আলসারেটিভ কোলাইটিসে ভোগা শিনজো আবে ২০০৭ সালেও হঠাৎ করেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেছিলেন।
আবে কট্টর রক্ষণশীল এবং জাতীয়তাবাদী হিসাবে এবং ‘আবেমনিক্স’ নামে পরিচিত তার আগ্রাসী অর্থনৈতিক নীতি দিয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, এই রোগে জুলাই থেকে তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি তার চিকিৎসা নিচ্ছেন যেখানে প্রচুর সময় দিতে হয়।
তিনি আরো যোগ করেন, যখন আমার কার্যকালের মেয়াদে এক বছর বাকি রয়েছে, করোনাভাইরাস নিয়ে হতাশা রয়েছে এবং অনেক নীতি প্রয়োগের অপেক্ষায় আছে তখন আমার পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য জাপানের জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই।
তবে আবে এখনই পদত্যাগ করবেন নাকি উত্তরসূরী নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত সময় নিবেন তা জানা যায়নি। জাপানের আইন অনুযায়ী একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সাময়িকভাবে দায়িত্ব নেবেন যদি আবে তার ভূমিকা পালন করতে অক্ষম হন, তবে তারা কত দিন পদে থাকতে পারবেন তার সীমাবদ্ধতা নেই।
উত্তরসূরীর তালিকায় উপ-প্রধানমন্ত্রী তারো অসো, যিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন তিনি প্রথম সারিতে রয়েছেন, তারপরে রয়েছেন মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিদ সুগা। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন দিতে পারবেন না কিন্তু চুক্তি ও বাজেটের মতো বিষয়গুলিতে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।