রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরের রানওয়েতে পাওয়া নবজাতকের অবস্থা এখন অনেকটাই ভাল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কুকুরের কামড়ের আঘাত থাকায় পুরোপুরি সুস্থ হতে তার আরেকটু সময় লাগবে।
তাকে উদ্ধার করা এলাকাবাসী জানিয়েছেন, শিশুটি সুস্থ হলে তারাই তার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেবেন।
বিমানবন্দর এলাকায় রানওয়ের শেষ মাথায় পাওয়া শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বেই তার চিকিৎসা করছে।
ডিএমসির উপ-পরিচালক ডা. নাজিমুন্নেসা বলেন, বাচ্চাটাকে যখন এখানে নিয়ে আসা হয় তখন তার মুখে ক্ষতের দাগ ছিলো। এখানে আসার পর থেকে ডাক্তাররা তার চিকিৎসা দিচ্ছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো।
যখন তাকে পাওয়া যায়, তখন তার শরীরে ছিল কুকুরের আঘাতের চিহ্ন। পাশেই খেলছিল শিশুরা। তাদের কাছে খবর পেয়েই তানিয়া, হালিমারা তুলে নেন শিশুটিকে।
এলাকাবাসী তানিয়া আক্তার বলেন, ছেলেরা ওখানে খেলা করছিলো। তারাই প্রথম দেখতে পায়। কুকুর তাকে কামড় দিচ্ছে। কান্নার শব্দ শুনে আমরা তাকে গিয়ে উদ্ধার করি। পরে ঢাকা মেডিকেলে তাকে ভর্তি করা হয়।
নর্দমায় পড়ে থাকা নবজাতককে যারা জীবনের আশা দিয়েছেন, তারা শিশুটির দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
সবার আশা, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে শিশুটি। গর্ভধারিণী মাকে না পেলেও অন্য কোনো মায়ের কোলে বড় হবে সে।